নিশাত তাসনিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলাম শিক্ষা বিভাগে অধ্যয়নরত। তিনি সব সময় সত্য কথা বলেন। তার সত্য বলার এই অভ্যাস মূলত ছোট বেলা থেকেই গড়ে উঠেছে। সম্প্রতি তিনি ইজমার ওপর একটি প্রতিবেদন রচনার কাজ করছেন। তার কাছে মনে হয়েছে জাতীয় ঐক্য সংরক্ষণে ইজমার বিকল্প নেই। এর মাধ্যমেই আপামর মুমিন জনতাকে বিভ্রান্তি থেকে মুক্ত করা সম্ভব।
নিশাত তাসনিম জাতীয় ঐক্য সংরক্ষণে এবং আপামর মুমিন জনতাকে বিভ্রান্তি থেকে রক্ষা করতে ইজমার যে প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন তা যথার্থ। ইসলাম একটি আধুনিক ও প্রগতিশীল ধর্ম। ইসলামি শরিয়তের তৃতীয় উৎস ইজমাই তার প্রমাণ বহন করে। ইজমার মাধ্যমে মুসলমানদের মধ্যে জাতীয় ঐক্য সংরক্ষিত হয়। মুমিনদেরকে বিভ্রান্তি থেকে সুরক্ষাও ইজমার মাধ্যমে নিশ্চিত হয়।
নিশাত তাসনিম ইজমার গুরুত্ব অনুভব করেছেন। কেননা আল্লাহ তায়ালা মুমিনদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। জাতীয় ঐক্য ক্ষুণ্ণ করে বা মুমিনদের মধ্যে বিপর্যয়- বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এমন সব কাজকে তিনি হারাম ঘোষণা করেছেন। যেকোনো ইস্যুতে মুমিনদের ভিন্ন ভিন্ন মত পোষণ তাদের ঐক্য ও সংহতি বিনষ্ট করে। এক্ষেত্রে ইজমা বা সম্মিলিত সিদ্ধান্ত ঐক্য সংরক্ষণে অনন্য সাধারণ ভূমিকা রাখে। উদ্দীপকের নিশাত তাসনিম এ বিষয়টিই তার প্রতিবেদনে নির্দেশ করেছেন। আবার, ইজমা আপামর মুমিন জনতাকে বিভ্রান্তি থেকে রক্ষা করেছেন। সাধারণ মুমিনদের অধিকাংশের জন্য নিজেদের মতানুসারে চলা প্রায়শ সম্ভব হয়ে ওঠে না। জ্ঞানগত সীমাবদ্ধতার জন্য এ কাজ তাদেরকে বিভ্রান্তি ও ভ্রষ্টতায় নিপতিত হওয়ার আশঙ্কা জাগিয়ে তোলে। আর ইজমা এক্ষেত্রে তাদের পুরোপুরি সুরক্ষা দান করে।
পরিশেষে বলা যায়, জাতীয় ঐক্য সংরক্ষণ ও আপামর মুমিন জনতাকে বিভ্রান্তি থেকে সুরক্ষা প্রদান ইজমার গুরুত্বপূর্ণ দুটি দিক। আর এ বিষয় দুটির প্রতিই নিশাত তাসনিম গুরুত্ব দিয়েছেন।