খন্দকের যুদ্ধে বিশাল কুরাইশ বাহিনীকে মোকাবেলার জন্য রাসুল (স) বিশিষ্ট সাহাবিদের নিয়ে পরামর্শ সভার আহ্বান করেন। উক্ত সভায় সালমান ফারসি (রা) কোরাইশদের মোকাবেলার জন্য যুদ্ধক্ষেত্রের চারপাশে পরিখা খননের পরামর্শ দেন। এতে সব সাহাবি ঐকমত্য প্রকাশ করলে রাসুল (স) কর্তৃক প্রস্তাবটি গৃহীত হয়।
উদ্দীপকে যুদ্ধ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার মাধ্যমে রাসুল (স) ইসলামি শরিয়তের ইজমার বিধান সম্পর্কে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে রাসুল (স) অনেক সময় সাহাবিদের পরামর্শ নিয়েছেন। এ ধরনের পরামর্শ থেকে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা ইজমার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। উদ্দীপকের ঘটনাটি এমনই একটি উদাহরণ।
উদ্দীপকে দেখা যায়, খন্দকের যুদ্ধের পরিকল্পনা ঠিক করতে গিয়ে রাসুল (স) সাহাবিদের পরামর্শ নিয়েছেন। তাঁদের ঐকমত্যের ভিত্তিতেই পরিখা খননের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একইভাবে ইজমাভিত্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সাহাবি অথবা আলিমগণের ঐকমত্যের ভিত্তিতে। তাই উদ্দীপকের সিদ্ধান্তটি ইজমার সাথেই সাদৃশ্যপূর্ণ। উক্ত ঘটনাটিতে রাসুল (স) ইচ্ছা করলে এককভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন। কিন্তু তিনি সম্মিলিত সাহাবিদের ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিয়ে পরবর্তী যুগের মানুষের জন্য ইজমার দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছেন; যেন এ থেকে শিক্ষা নিয়ে পরবর্তী যুগে মুমিনরা সঠিক পথে চলতে পারে। সুতরাং রাসুল (স) উদ্দীপকের ঘটনাটি ইজমা শিক্ষাকেই তুলে ধরেছে, যা ইসলামি শরিয়তের তৃতীয় উৎস।