খন্দকের যুদ্ধে বিশাল কুরাইশ বাহিনীকে মোকাবেলার জন্য রাসুল (স) বিশিষ্ট সাহাবিদের নিয়ে পরামর্শ সভার আহ্বান করেন। উক্ত সভায় সালমান ফারসি (রা) কোরাইশদের মোকাবেলার জন্য যুদ্ধক্ষেত্রের চারপাশে পরিখা খননের পরামর্শ দেন। এতে সব সাহাবি ঐকমত্য প্রকাশ করলে রাসুল (স) কর্তৃক প্রস্তাবটি গৃহীত হয়।
রাসুল (স)-এর ইন্তেকালের পরে উদ্দীপকে নির্দেশিত উৎস তথা ইজমার গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। নবোদ্ভাবিত কোনো সমস্যার সমাধান দেওয়ার জন্য ইজমার প্রয়োজন হয়। এ ধরনের সমস্যা যখন রাসুল (স)-এর যুগে দেখা দিত তখন কুরআন অথবা হাদিসের আলোকে তার সমাধান দেওয়া হতো। তাছাড়া রাসুলের যেকোনো সিদ্ধান্ত সবাই নির্দ্বিধায় মেনে নিত। তবে রাসুল (স) কোনো কোনো ক্ষেত্রে ইজমার শিক্ষা দেওয়ার জন্য সম্মিলিতভাবে সাহাবিদের নিয়ে সিদ্ধান্ত নিত। উদ্দীপকে এমনটিই লক্ষণীয়।
খন্দকের যুদ্ধে শত্রুবাহিনীকে মোকাবিলা করতে রাসুল (স) সাহাবিদের নিয়ে পরামর্শ সভার আহ্বান করেন। সভার পরামর্শের ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেন। তিনি পরামর্শ না করলেও পারতেন। কেননা তখন কুরআন নাজিল অব্যাহত ছিল। উদ্দীপকে দেখা যায়, মূল সিদ্ধান্তটি রাসুল (স) নিজেই নিয়েছিলেন। কিন্তু রসুল (স)-এর ইন্তেকালের পর তাঁর মতো ওহির ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষমতা আর কারো ছিল না। এ সময় ইজমার গুরুত্ব বৃদ্ধি পেতে থাকে। এভাবে সময় অতিবাহিত হওয়ার সাথে সাথে আরও বেশি বিভ্রান্তি তৈরি হতে থাকে, যা ইজমার প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি করে। রাসুল (স) জানতেন তার ইন্তেকালের পর ইজমার প্রয়োজন হবে সে জন্যই তিনি উদ্দীপকের দৃষ্টান্তটির মতো কিছু দৃষ্টান্ত মুসলমানদের জন্য রেখে গেছেন।
উপরের বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে বলা যায়, উদ্দীপকে ইজমার দৃষ্টান্ত দেখানো হলেও তা রাসুল (স)-এর যুগে খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। তার ওফাতের (মৃত্যু) পরেই এটি অধিক গুরুত্ব লাভ করে।