রোহিতপুর গ্রামের বাসিন্দা মুমিন। সে তার খালাতো বোন ময়নার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। মুমিনের চাচা বলেন, এই বিবাহবন্ধনের ফলে নিজেদের সম্পত্তি নিজেদের মধ্যেই থাকবে। অন্যদিকে একই গ্রামের মেয়ে সালমা বেগমের স্বামী মারা যায়। তবে সে অল্প বয়সে বিধবা হয় এবং তার কোনো সন্তান সন্ততি না থাকায় তাকে দ্বিতীয়বার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে হয়।
উদ্দীপকে মুমিনের বিবাহব্যবস্থাটি প্যারালাল কাজিন বিবাহ। চাচাতো বা খালাতো ভাই-বোনের মধ্যে বিবাহ সংঘটিত হলে তাকে প্যারালাল কাজিন বিবাহ বলে। আমাদের সমাজে চাচাতো এবং খালাতো ভাই-বোনের মধ্যে বিবাহ অনুষ্ঠানের ঘটনা বিরল নয়। এ ধরনের বিবাহের ক্ষেত্রে দুটো উদ্দেশ্য কাজ করে। একটি হলো আত্মীয়তার সম্পর্ককে জোরদার করা; আরেকটি হলো বৈষয়িক- অর্থাৎ, সম্পত্তি নিজেদের মধ্যে রাখা। তদুপরি কেউ সন্তানদের অজানা অচেনা দূরে বিবাহ না দিয়ে নিজেদের মধ্যে রাখতে চান। সন্তানদের প্রতি স্নেহ-মায়ামমতার কারণেও কেউবা এ ধরনের বিবাহ রীতি বেছে নেন।
উদ্দীপকের রোহিতপুর গ্রামের বাসিন্দা মুমিন তার খালাতো বোন ময়নার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এ বিষয়ে মুমিনের চাচা বলেন, এ বিবাহ বন্ধনের ফলে নিজেদের সম্পত্তি নিজেদের মধ্যেই থাকবে। মুমিনের খালাতো বোনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া এবং তার চাচার বক্তব্যের মাধ্যমে প্যারালাল কাজিন বিবাহের চিত্র ফুটে উঠেছে। সুতরাং বলা চলে, উদ্দীপকের মুমিনের বিবাহ ব্যবস্থাটি প্যারালাল কাজিন বিবাহ।