কৈশোরে ছেলেমেয়েদের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনগুলো সাধারণত বেশ স্পষ্টভাবে দেখা যায়। নিচে এই পরিবর্তনগুলো সংক্ষেপে বর্ণনা করা হলো:
শারীরিক পরিবর্তন:
- উচ্চতা বৃদ্ধি: কৈশোরে দ্রুত উচ্চতা বৃদ্ধি ঘটে, যাকে 'গ্রোথ স্পার্ট' বলা হয়।
- হাড়ের বৃদ্ধি: হাত-পা ও অন্যান্য হাড় দ্রুত বাড়তে থাকে এবং শরীরের আকারে পরিবর্তন আসে।
- যৌন পরিবর্তন: ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে যৌন পরিবর্তন ঘটে। মেয়েদের ক্ষেত্রে স্তন বৃদ্ধি, ঋতুস্রাবের শুরু এবং ছেলেদের ক্ষেত্রে দাড়ি-গোঁফের বৃদ্ধি ও স্বর পরিবর্তন হতে থাকে।
- শরীরের চর্বি ও পেশীর পরিবর্তন: মেয়েদের ক্ষেত্রে শরীরে চর্বি জমা বাড়ে, বিশেষ করে স্তন ও নিতম্বের অংশে। ছেলেদের ক্ষেত্রে পেশী বৃদ্ধি পায়।
- ঘাম ও তেল গ্রন্থির সক্রিয়তা: কৈশোরে ঘাম ও তেল গ্রন্থিগুলি বেশি সক্রিয় হয়, যার ফলে ত্বকে ব্রণ বা ফুসকুড়ির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
মানসিক পরিবর্তন:
- আত্মপরিচয় গঠন: কৈশোরে ছেলেমেয়েরা নিজেদেরকে নিয়ে অনেক চিন্তা করে এবং আত্মপরিচয় গঠনের চেষ্টা করে।
- আবেগের পরিবর্তন: আবেগ বেশি অনুভূত হয় এবং মেজাজ ওঠানামা করে। এ সময় আবেগের ক্ষেত্রে অস্থিরতা দেখা দিতে পারে।
- স্বাধীনতা ও দায়িত্ব: কৈশোরে স্বাধীনতা ও দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়তে থাকে। তারা নিজেদের সিদ্ধান্ত নিজেরা নিতে চায় এবং স্বতন্ত্রতা প্রকাশ করতে চায়।
- সহকর্মিতা ও সামাজিক বন্ধন: বন্ধুদের প্রতি আকর্ষণ বাড়ে এবং সামাজিক সম্পর্ক গড়তে মনোযোগী হয়। তারা পরিবার থেকে বন্ধুদের সাথে বেশি সময় কাটাতে পছন্দ করে।
- চিন্তার গভীরতা: কৈশোরে চিন্তার পরিসর ও জটিলতা বাড়ে। তারা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ভাবতে শেখে এবং তাদের কল্পনাশক্তিও জোরালো হয়ে ওঠে।
এই পরিবর্তনগুলো কৈশোরের একটি স্বাভাবিক অংশ এবং এটি বড় হওয়ার প্রক্রিয়ার অগ্রগতির প্রতিফলন।