পরমত সহিষ্ণুতা (Toleration or Tolerance) একটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ধারণা যা অন্যের মতামত, বিশ্বাস, বা আচরণের প্রতি সহানুভূতি ও গ্রহণযোগ্যতার মনোভাবকে নির্দেশ করে। এটি বিশেষত ধর্ম, সংস্কৃতি, রাজনৈতিক মতামত, বা অন্য যেকোনো ভিন্নতা সম্পর্কিত হতে পারে। পরমত সহিষ্ণুতা মূলত নিচের বিষয়গুলো বোঝায়:
১. বৈচিত্র্য গ্রহণ:
- পরমত সহিষ্ণুতা বিভিন্ন সংস্কৃতি, ধর্ম, ও মতামতের মধ্যে বৈচিত্র্যকে গ্রহণ করে। এটি মানুষের মধ্যে সহিষ্ণুতা এবং সম্মানের অনুভূতি তৈরি করে।
২. সহিষ্ণুতার গুরুত্ব:
- এটি সামাজিক শান্তি ও সম্প্রীতির জন্য অপরিহার্য। যখন সমাজে পরমত সহিষ্ণুতা থাকে, তখন সংঘাত ও বিরোধ কমে যায় এবং একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা বাড়ে।
৩. আলাপ-আলোচনা:
- পরমত সহিষ্ণুতা আলোচনার মাধ্যমে ভিন্নতা ও মতবিরোধের সম্মুখীন হওয়ার জন্য একটি সুচনা দেয়। এটি মতবিরোধের স্থলে আলোচনার ও সমঝোতার সংস্কৃতি গড়ে তোলে।
৪. মানবাধিকারের মূল্যায়ন:
- এটি মানবাধিকারের প্রতি সম্মান ও মূল্যায়ন বাড়ায়। প্রত্যেক ব্যক্তির নিজস্ব মতামত ও বিশ্বাস প্রকাশের অধিকার থাকা উচিত, এবং পরমত সহিষ্ণুতা সেই অধিকারকে সম্মান করে।
৫. শিক্ষা ও সচেতনতা:
- পরমত সহিষ্ণুতার ভিত্তি শিক্ষা ও সচেতনতা। যখন মানুষ ভিন্ন বিশ্বাস ও মতামত সম্পর্কে জানে, তখন তারা তাদের প্রতি বেশি সহিষ্ণু হয়।
উপসংহার:
পরমত সহিষ্ণুতা সমাজের প্রতিটি স্তরে শান্তি, সহযোগিতা ও সুসম্পর্ক গঠনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি ব্যক্তিগত ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য এবং বিশ্বে শান্তির স্থাপনে সহায়ক।