গৌতম বুদ্ধ দীর্ঘ ৪৫ বছর ধর্ম প্রচার করার পর ৮০ বছর বয়সে কুশিনগরে যমক শালবনবৃক্ষের নিচে মহাপরিনির্বাণ লাভ করেন। ভারতবর্ষের সব রাজন্য ও শ্রেষ্ঠীদের উপস্থিতিতে মহাকাশ্যপ বুদ্ধের চিতায় অগ্নি সংযোগ করেন। পরে ব্রাহ্মণ দ্রোনাচার্য তথাগত বুদ্ধের অস্থিধাতু আটজন রাজা এবং চিতাভস্ম মৌর্যরাজকে ভাগ করে দেন।
বর্তমান বিশ্বে বুদ্ধের অস্থিধাতু ধর্ম, দর্শন ও ঐতিহ্যের দিক থেকে অমূল্য সম্পদ ও পরম শ্রদ্ধার বস্তু-কথাটি তাৎপর্য তোমার পাঠ্যবইয়ের আলোকে ব্যাখ্যা কর।
গৌতম বুদ্ধের অস্থিধাতু এবং তাঁর জীবন ও দর্শন বর্তমান বিশ্বে ধর্ম, দর্শন ও ঐতিহ্যের ক্ষেত্রে অমূল্য সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হয়। তাঁর শিক্ষা ও আদর্শ মানব সমাজের উন্নয়ন, শান্তি, এবং ধর্মীয় সহিষ্ণুতার একটি ভিত্তি প্রদান করে। নিচে এই বিষয়টি বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হলো:
গৌতম বুদ্ধের অস্থিধাতু ও তাঁর শিক্ষা বর্তমান বিশ্বে ধর্ম, দর্শন ও ঐতিহ্যের দিক থেকে অমূল্য সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হয়। তাঁর শিক্ষা মানবতার কল্যাণে ও সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠার পথে একটি অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে, যা আমাদের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে। বর্তমান যুগে বুদ্ধের দর্শন ও ধর্মীয় শিক্ষা মানবজাতির জন্য একটি আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করে, যা মানবিক সম্পর্ক এবং সমতা প্রতিষ্ঠায় সহায়ক।