রফিক পেশায় একজন রিকসা ভ্যানচালক। স্বল্প আয়ের লোক বিধায় সংসার চালাতে মহাজনের নিকট হতে ঋণ নিতে হয়। অবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে কয়েকজন বন্ধু মিলে ভ্যানচালক সমবায় সমিতি গঠন করেন। তাঁরা দৈনিকভিত্তিক চাঁদা দিয়ে সঞ্চয় জমা করেন এবং জমাকৃত টাকা ব্যবসায়িক কাজে লাগিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হন। সমিতি অল্পদিনে ৩৫টি ভ্যান গাড়ি নিজস্ব অর্থায়নে ক্রয় করে। সমিতির সদস্যসংখ্যা এখন ৮৩ জন।
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে জনাব রফিকের উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আমি মনে করি।
বিভিন্ন ধরনের শ্রমজীবী মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে শ্রমজীবী সমবায় সমিতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে সক্ষম। উক্ত সমবায়ের মাধ্যমে সম্প্রীতির সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা ছাড়াও নিজেরা সঞ্চয় জমা করে ও তা ব্যবসায়িক কাজে লাগিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া সম্ভব।
উদ্দীপকে রফিক অন্যান্য রিকসা ভ্যানচালকদের নিয়ে শ্রমজীবী সমবায় সমিতি গঠন করে। শ্রমজীবী সমবায় সমিতি গঠনের ফলে রিকসা ভ্যানচালকদের মধ্যে ঐক্য ও সচেতনতা সৃষ্টি হওয়ায় তাদের মধ্যে সঞ্চয়ের অভ্যাস সৃষ্টি হবে। এরূপ সংগঠনের ফলে মূলধন গঠন করা সম্ভব হবে। তাছাড়া নিজেদের মধ্যে ঋণের সুযোগ সৃষ্টি করে শ্রমজীবীরা নিজেদের আর্থিক সমস্যা মোকাবিলা করতে এবং ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটাতে পারবে। ফলে দেশে দরিদ্রতার হার কমে যাবে এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটবে।