ঢাকার মিরপুর এলাকায় 'মেঘনা সমবায় সমিতি' ও 'আশার আলো' নামে দুটি সমবায় সমিতি রয়েছে। মেঘনা সমবায় সমিতির সদস্যরা তাদের তৈরি করা খেলনা-সামগ্রী একত্র করে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করে। এতে অত্র এলাকার মানুষের উপার্জন বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরদিকে, আশার আলো সমবায় সমিতির সদস্যরা তাদের প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য সরাসরি কোম্পানি থেকে কিনে এনে নিজেরা ভাগ করে নেয়।
অত্র এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে মেঘনা সমবায় সমিতির ভূমিকা অপরিসীম।
ধনতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় আর্থিক সংকটে নিষ্পেষিত নিম্নবিত্তের মানুষকে নিজেদের সচ্ছলতার পথে এগিয়ে নিতে যে প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা পেতে পারে তা হলো সমবায় সমিতি। আর কোনো স্থানের সমপ্রকৃতির ক্ষুদ্র উৎপাদনকারিগণ বিক্রয়ের ক্ষেত্রে অধিক সুবিধাপ্রাপ্তির আশায় সমবায় সমিতি স্থাপন করলে তাকে বিক্রয় সমবায় সমিতি বলে। এর ফলে আশানুরূপ মূল্যে পণ্য বিক্রয়ের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি মধ্যস্থ ব্যবসায়ীদের ওপর হতে নির্ভরতা কমানো যায়।
উদ্দীপকের ঢাকার মিরপুর এলাকার 'মেঘনা সমবায় সমিতি'-এর সদস্যরা মূলত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উৎপাদক। তাদের পণ্যসামগ্রী বিক্রয়ে নানা ধরনের অসুবিধা হয়। তাই তারা ন্যায্যমূল্যে তাদের উৎপাদিত পণ্যসামগ্রী বিক্রয়ের জন্য তারা বিক্রয় সমবায় সমিতি গঠন করে। আর এ ধরনের সমবায় সমিতি থেকেই এর সদস্যরা আর্থিকভাবে লাভবান হয়ে থাকে। কেননা এতে নিজেদের মধ্যকার প্রতিযোগিতা হ্রাস পায় সেই সাথে মুনাফার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। ফলে উৎপাদকগণ উৎপাদন কার্যক্রম সম্প্রসারিত করতে পারেন বিধায় নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়। আর কর্মসংস্থান ঘটলে মানুষের আয় বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া জীবনযাত্রার মানও উন্নত হয়।
সুতরাং বলা যায়, অত্র এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে মেঘনা সমবায় সমিতির ভূমিকা অপরিসীম।