Academy

রীনা, রুমা ও রিপা তিন বন্ধু উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। তারা জানে গণিত ও কম্পিউটার বিজ্ঞান হলো প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের অন্যতম শাখা। জ্ঞানের ক্ষেত্রে উভয়ের প্রায়োগিক ও ব্যবহারিক ভূমিকা রয়েছে। উভয়টি শিক্ষার মাধ্যমেই বৃত্তিমূলক কাজের সন্ধান পাওয়া যায়। তাদের কাছে যুক্তিবিদ্যার সাথে এ ধরনের আকারগত বিজ্ঞানের অনুবন্ধ সম্পর্ক আপাত জটিল ও দুর্বোধ্য বলে মনে হয়।

যুক্তিবিদ্যার সাথে বিজ্ঞানের সম্পর্ক কী? (অনুধাবন)

Created: 1 year ago | Updated: 5 months ago
Updated: 5 months ago
Ans :

সব বিজ্ঞানকেই যৌক্তিক নিয়ম প্রয়োগ করতে হয়। অর্থাৎ সকল বিজ্ঞানকে অবরোহ বা আরোহ পদ্ধতিদ্বয়ের যেকোন একটা পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে। সেজন্য প্রত্যেকটি বিজ্ঞানকেই তার অনুসৃত পদ্ধতির জন্য যুক্তিবিদ্যার উপর নির্ভর করতে হয়। আবার প্রত্যেক বিজ্ঞানকেই তার ব্যবহৃত কতিপয় পদের সংজ্ঞা নির্দেশ, আলোচ্য ঘটনার সমষ্টির শ্রেণিবিভাগ ও ব্যাখ্যাদান এবং বিভিন্ন প্রকল্প রচনা করতে হয়। যুক্তিবিদ্যা এসব ক্রিয়ার নিয়মাবলি সরবরাহ করে। সেজন্য যুক্তিবিদ্যার সাথে বিজ্ঞানের সম্পর্ক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

1 year ago

যুক্তিবিদ্যা

**'Provide valuable content and get rewarded! 🏆✨**
Contribute high-quality content, help learners grow, and earn for your efforts! 💡💰'
Content

Related Question

View More

1 যুক্তিবিদ্যা কী? (জ্ঞানমূলক)

Created: 1 year ago | Updated: 5 months ago
Updated: 5 months ago

ভাষায় প্রকাশিত চিন্তা সম্পর্কিত বিজ্ঞানকে 'যুক্তিবিদ্যা' বলে।

দর্শন হলো জ্ঞানের প্রতি অনুরাগ বা ভালোবাসা। জগৎ, জীবন সম্পর্কে সার্বিক আলোচনাই হলো দর্শন। দর্শন শুধু ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য জগতের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি অতীন্দ্রিয় জগৎ, সত্তা, যেমন- প্রাণ, স্রষ্টা, আত্মা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করে থাকে। বিশ্ব জগতে এমন কোনো বিষয় নেই যা দর্শনের আলোচ্য বিষয় নয়।

উদ্দীপকে রিপন সাহেবের কর্মকাণ্ডে যুক্তিবিদ্যার বিষয়টি পরিলক্ষিত হয়। যুক্তিবিদ্যা হলো চিন্তা সম্পর্কিত বিজ্ঞান, যার মাধ্যমে অবৈধ যুক্তি থেকে বৈধ যুক্তি পৃথক করা যায়। যুক্তির সত্যতা বা বৈধতা যাচাই করার জন্য যুক্তিবিদ্যা নিয়ম প্রণয়ন করে। সত্যের আদর্শকে সামনে রেখেই যুক্তিবিদ্যা কতকগুলো সাধারণ নিয়ম প্রণয়ন করে।

উদ্দীপকের বর্ণনা অনুযায়ী এবং যুক্তিবিদ্যার সংজ্ঞা অনুযায়ী বলা যায় যে, রিপেরে কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্তিবিদ্যার মিল রয়েছে। যুক্তিবিদ্যা যেমন বৈধ-অবৈধ যুক্তি পৃথক করে; তেমনি রিপন কোন কাজ দরকারী, কোনটি পরিহার্য তা পৃথক করতে পারে। বৈধ-অবৈধ যুক্তির পার্থক্য করার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। রিপন সাহেব জানে যে ভালো বক্তৃতা দিতে কীভাবে দোষ-ত্রুটি, পরিহার করতে হয় তার নিয়ম-কানুন। সুতরাং আমরা বলতে পারি যে, উদ্দীপকে রিপনের কর্মকাণ্ডে ভালো বক্তব্য দেওয়ার কৌশলের কথা বলা হয়েছে এবং বক্তব্যের বিভিন্ন দোষ-ত্রুটি শনাক্ত করার পদ্ধতি সম্পর্কে অবগত যা যুক্তিবিদ্যার সাথে মিলে যায়।

উদ্দীপকে রিপন, স্বপনের মধ্যে যে ধরনের পার্থক্য আছে তা হলো নীতিবিদ্যা ও যুক্তিবিদ্যার মধ্যে পার্থক্যের মতো।

যুক্তিবিদ্যা হলো ভাষায় প্রকাশিত চিন্তা সম্পর্কিত বিজ্ঞান। চিন্তার নিয়মাবলি নির্ণয় করে। যুক্তির বৈধতা-অবৈধতা বিচার করে। যুক্তির সত্যতা বা বৈধতা নির্দেশের নিয়মাবলি প্রণয়ন করে। শুধু প্রণয়ন করে না, এর দ্বারা সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছে জ্ঞান অর্জন করার জন্য নির্দেশ প্রদান করে।

নীতিবিদ্যা হলো আদর্শ নিষ্ঠ বিজ্ঞান। সমাজে বসবাসকারী মানুষের আচরণের ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায়, উচিত-অনুচিত বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করে। এখন আমরা বলতে পারি যে, উদ্দীপকে রিপন সাহেবের কার্যকলাপের সাথে যুক্তিবিদ্যার বিষয়গত মিল রয়েছে; স্বপন সাহেবের সাথে নীতিবিদ্যার কার্যাদির মিল পাওয়া যায়।

রিপন সাহেব বুঝতে পারে কোন কাজ দরকারি, কোন কাজটি পরিহারি; স্বপন তার কর্মকাণ্ডে সব সময় সৎ থাকার চেষ্টা করেছেন। রিপন ভালো বক্তব্য দেওয়ার কৌশল সম্পর্কে অবগত এবং বক্তৃতা করার সময় দূষণীয় বিষয়গুলো কীভাবে পরিহার করতে হয় তার কৌশল সম্পর্কে জানেন। যেমনভাবে যুক্তিবিদ্যায় বৈধ-অবৈধ যুক্তির মধ্যে পার্থক্যের কৌশল বর্ণিত আছে। অপর দিকে স্বপন পেশাগত দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করেন ও সৎ জীবনযাপন করেন যা নীতিবিদ্যার সাথে সম্পৃক্ত।. সুতরাং আমরা বলতে পারি যে, রিপনের কর্মকান্ডে যুক্তিবিদ্যার ছাপ পরিলক্ষিত হয় আর স্বপনের কর্মকাণ্ডে নীতিবিদ্যার ছাপ পরিলক্ষিত হচ্ছে।

5 শিক্ষা কী? (জ্ঞানমূলক)

Created: 1 year ago | Updated: 5 months ago
Updated: 5 months ago

শিক্ষা হলো এমন বিষয় যার দ্বারা অভ্যাস, মনোভাব, ও দক্ষতার বিকাশ হয় এবং যা মানুষকে সফল জীবনযাপনে সহায়তা করে।

জীবন ও জগৎ সম্পর্কে সার্বিক আলোচনা করে থাকে দর্শন। জগৎ ও জীবন সম্পর্কে একটি বাস্তব, সুসংবদ্ধ ও যৌক্তিক, প্রায়োগিক ও যুগোপযোগী জ্ঞান প্রদান করাই হলো দর্শনের মূল উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য। এটি জগৎ ও জীবন সম্পর্কে বিচার-বিশ্লেষণ করে থাকে। নন্দনতত্ত্ব, নীতিবিদ্যা, গণিত, শিক্ষা, জগতের উৎপত্তি-ক্রমবিকাশসহ এমন কোনো দিক নাই যা দর্শন আলোচনা করে না। আর এ কারণে দর্শন জীবন ও জগতের সাথে সম্পৃক্ত।

Promotion
NEW SATT AI এখন আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

Are you sure to start over?

Loading...