এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে- সবচেয়ে সুন্দর করুণ;
সেখানে সবুজ ডাঙা ভ'রে আছে মধুকূপী ঘাসে অবিরল;
সেখানে গাছের নাম: কাঁঠাল, অশ্বত্থ, বট, জারুল, হিজল;
সেখানে ভোরের মেঘে নাটার রঙের মতো জাগিছে অরুণ;
সেখানে বারুণী থাকে গঙ্গাসাগরের বুকে- সেখানে বরুণ;
কর্ণফুলী ধলেশ্বরী পদ্মা জলাঙ্গীরে দেয় অবিরল জল;
সেইখানে শঙ্খচিল পানের বনের মতো হাওয়ায় চঞ্চল;
সেইখানে লক্ষ্মীপেঁচা ধানের গন্ধের মতো অস্ফুট, তরুণ;
সেখানে লেবুর শাখা নুয়ে থাকে অন্ধকারে ঘাসের উপর;
লেখক আবদুর রহমানের বাড়ি যেতে রাজি হওয়ায় সে আনন্দে প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেছে।
আবদুর রহমান কাজের অবসরে কাবুলের চেয়ে বহুগুণ ভালো আবহাওয়া, পরিবেশ ও জীবনযাপন বিষয়ে লেখকের সঙ্গে গল্প করত। কথা প্রসঙ্গে একদিন সে তার জন্মস্থান উত্তর-আফগানিস্তানের পানশিরের গল্পও করেছিল। সেখানে নির্মল বাতাস, শীতের সময় নানা রকম বরফ পড়া, পরিপাক যন্ত্রের ক্রিয়া বৃদ্ধি ইত্যাদি নানা বিষয়ে গল্প করছিল লেখকের সঙ্গে। লেখক এতসব শুনে যখন শীতকালটা পানশিরে কাটানোর কথা বললেন, তখন সে আনন্দে গদগদ হয়ে আলোচ্য উক্তিটি করেছিল।