উদ্দীপক-১:
কার্ড পাই খেতে যাই
চমচম ও মিষ্টি;
খাওয়া শেষে হেসে হেসে
হাতেও দেয় লিস্টি?
উদ্দীপক-২:
পবিত্র এই মনের ছোঁয়া থাকুক বছর জুড়ে
সুখ পাখিরা আসুক ঘরে, দুঃখ পালাক দূরে।
ভালোবাসার আলো খেয়ে নতুন দিনের মতো
যাক মুছে যাক কূট চেতনা মন কালিমা যতো।
উদ্দীপক-১ এর বর্ণনার সাথে 'পয়লা বৈশাখ' প্রবন্ধের হালখাতা অনুষ্ঠানের মিল রয়েছে।
বাংলা নববর্ষ উৎসব বাঙালির প্রাণের উৎসব। এ দিন জাতি-ধর্ম-বর্ণ-গোত্র, উঁচু-নিচু, ধনী-দরিদ্র ইত্যাদি বৈষম্য ভুলে সব বাঙালি, আনন্দে মেতে ওঠে। এর ফলে নববর্ষ উদযাপনের চেতনা তাদের ঐক্যবদ্ধ করে উজ্জীবিত করে তোলে।
উদ্দীপক-১ এর কবিতাংশে কবি কার্ডের মাধ্যমে দাওয়াত পেয়ে খেতে যাওয়ার কথা বলেছেন। সেই দাওয়াতে তিনি চমচম ও মিষ্টি খান। খাওয়ার শেষে দোকানি হেসে হেসে বকেয়া বিলের লিস্ট তুলে দেন। এই বিষয়টি 'পয়লা বৈশাখ' প্রবন্ধে বর্ণিত হালখাতা অনুষ্ঠানের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। ব্যবসায়ী নতুন বছরের হিসাবের খাতা খোলা এবং পুরনো হিসাব ঢুকানোর জন্য হালখাতা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেই আয়োজনে সুদৃশ্য খামের মাধ্যমে খদ্দেরদের দাওয়াত দিয়ে মিষ্টি খাওয়ায় এবং সাথে সাথে বকেয়ার তালিকাটাও দিয়ে দেয়।