দীপ্তর বাবা ব্যবসায়ী। আজ তাদের দোকান বিভিন্ন রঙের কাগজ কেটে সাজানো হয়েছে। সে তার বন্ধু শেফালী ও নিতীশ চাকমাকে দোকানে মিষ্টি খাওয়ার দাওয়াত দেয়। মিষ্টি খেয়ে তারা এক সাথে মেলায় যায়। মেলায় হরেক রকম দোকান বসেছে। মেলায় ঘুরে ঘুরে তারা বিভিন্ন শখের জিনিস কেনে, নাগরদোলায় চড়ে এবং পুতুলনাচ দেখে। ফেরার পথে তাদের মনে পড়ে শহরের বন্ধু আসিফের কথা। আসিফ ও তার পরিবার এই নববর্ষ উপলক্ষে নতুন বিশেষ পোশাক ক্রয়ে বিপুল অর্থ ব্যয় করে। এসব গল্প করতে করতে তারা বাড়ি ফেরে।
"পয়লা বৈশাখকে আসিফের পরিবারের নববর্ষ পালনের রীতি থেকে উদ্ধার করাই 'পয়লা বৈশাখ' প্রবন্ধের লেখকের প্রত্যাশা"- মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।
(উচ্চতর দক্ষতা)"পয়লা বৈশাখকে আসিফের পরিবারের নববর্ষ পালনের রীতি থেকে উদ্ধার করাই 'পয়লা বৈশাখ' প্রবন্ধের লেখকের প্রত্যাশা"- মন্তব্যটি যথার্থ।
বাংলা নববর্ষ বাঙালি জীবনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি উৎসব। এই উৎসব বাঙালির প্রাণের উৎসব। বাংলা নববর্ষে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, সামাজিক, পারিবারিক অনুষ্ঠান পালন করা হয়। এসব অনুষ্ঠান বাঙালি জীবনেরই অংশ।
উদ্দীপকে দীপ্ত তার বন্ধু আসিফ এবং তার পরিবারের কথা বলেছে। আসিফের পরিবার নববর্ষ উপলক্ষে নতুন পোশাক ক্রয় করে। এই পোশাক ক্রয়ে তাদের বিপুল অর্থ ব্যয় হয়। তাদের এই উদ্যোগ 'পয়লা বৈশাখ' প্রবন্ধে বর্ণিত বুর্জোয়া বিলাস ও ফ্যাশনের দিকটিকে নির্দেশ করে। এই প্রবন্ধে বাংলা নববর্ষের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে বর্তমানে ঢাকার বা শহরের নববর্ষ পালন অতীতের ধারা থেকে বিচ্যুত। ঢাকার বা শহরের মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তের নানা ধরনের রঙিন পোশাক পরিধান এবং বিভিন্ন কর্মকান্ড বিলাসিতারই নামান্তর। প্রাবন্ধিক পয়লা বৈশাখের বিভিন্ন গুরুত্ব তুলে ধরে এই অবস্থা থেকে পয়লা বৈশাখকে উদ্ধার করার প্রয়োজনীতার কথা বলেছেন।
পয়লা বৈশাখকে কেন্দ্র করে উদ্দীপকের আসিফের পরিবার যে উদ্যোগ নেয় তা আলোচ্য প্রবন্ধের বুর্জোয়া বিলাস। আমরা যেন তাতে গা ভাসিয়ে না দিই আলোচ্য প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক সেই প্রত্যাশাই ব্যক্ত করেছেন। এই কারণে তিনি 'পয়লা বৈশাখ' প্রবন্ধে পয়লা বৈশাখের ইতিহাস-ঐতিহ্যের কথা তুলে ধরেছেন। তাই আমরা বলতে পারি যে, "পয়লা বৈশাখকে আসিফের পরিবারের নববর্ষ পালনের রীতি থেকে উদ্ধার করাই 'পয়লা বৈশাখ' প্রবন্ধের লেখকের প্রত্যাশা।" সুতরাং প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।