উদ্দীপক (১): নববর্ষে যাবো এবার লক্ষ্মীপুরের মেলা
বাঁশি কিনবো, বেলুন কিনবো, দেখবো লাঠি খেলা।
উদ্দীপক (২): বাঙালির এই প্রাণের মেলা থামিয়েছিল যারা
লাঠি দিয়ে বীর বাঙালি ওদের করলো দেশছাড়া।
পরাধীন অবস্থায় পয়লা বৈশাখ উদযাপনে বাঙালির মনোভাবের পরিচয় দাও।
(অনুধাবন)পরাধীন অবস্থায় পয়লা বৈশাখ উদযাপনে বাঙালি প্রতিবাদী মনোভাব ব্যক্ত করে।
পয়লা বৈশাখ উদ্যাপন বাঙালি জাতির অনেক পুরনো ঐতিহ্য। ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ বিভক্ত হলে পাকিস্তানের জন্ম হয়। তখন পূর্ব পাকিস্তানে পয়লা বৈশাখ উদ্যাপন করা হলে পাকিস্তান সরকার তা অত্যন্ত ঘৃণার চোখে দেখে। বাঙালিরা তখন তাদের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ঐতিহ্যবাহী চেতনার আনন্দে পয়লা বৈশাখ উদ্যাপন করে। এর মধ্য দিয়ে বাঙালির ঐক্য ও অসাম্প্রদায়িক বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে। সেই সঙ্গে বাঙালিরা এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে জাতীয়তাবাদী চেতনা তুলে ধরেছে। শিক্ষিত মানুষ পরাধীন অবস্থায় প্রতিবাদী মনোভাব নিয়ে পরম উৎসাহ ভরে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন করে।