উদ্দীপক (১): নববর্ষে যাবো এবার লক্ষ্মীপুরের মেলা
বাঁশি কিনবো, বেলুন কিনবো, দেখবো লাঠি খেলা।
উদ্দীপক (২): বাঙালির এই প্রাণের মেলা থামিয়েছিল যারা
লাঠি দিয়ে বীর বাঙালি ওদের করলো দেশছাড়া।
"উদ্দীপক (২)-এ বাঙালি জাতীয়বাদী আদর্শের পরিচয় পাওয়া যায়।"- মন্তব্যটি যথার্থ।
উদ্দীপক (২)-এ বাঙালির জাতীয়তাবাদী চেতনার প্রকাশ পেয়েছে। ঠিক একইভাবে প্রবন্ধে লেখক জাতীয় চেতনার কথা বলেছেন।
বাংলা নববর্ষের ঐতিহ্য সুপ্রাচীন ও গৌরবমণ্ডিত। বাঙালি নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই দিনটি উদ্যাপন করে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নেয়। বিশ শতকের প্রথমার্ধে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনকে কেন্দ্র করে জাতীয়তাবাদী চেতনার সঙ্গে যে সাম্রাজ্যবাদী চেতনা যুক্ত হয়েছিল তা একই সঙ্গে কৌতূহলোদ্দীপক ও ন্যক্কারজনক। তখন এই অঞ্চলের শিক্ষিত মানুষ একটি প্রতিবাদী মনোভাব নিয়ে পরম উৎসাহ ভরে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপন করে। উদ্দীপক (২)-এ এই চেতনার প্রকাশ পাওয়া যায়।
উদ্দীপক (২)-এ বাঙালির প্রাণের নেতনাকে যারা থামিয়ে দিতে ষড়যন্ত্র করেছিল তাদের বিরুদ্ধে বাঙালির রুখে দাঁড়ানোর কথা বলা হয়েছে। লাঠি দিয়ে বীর বাঙালি তাদের দেশছাড়া করেছে। অর্থাৎ এদেশের সব মানুষ এক হয়ে বাঙালির ঐতিহ্যমন্ডিত ধর্মনিরপেক্ষ চেতনাকে ধারণ করেছে। ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে বাঙালির ঐক্যবদ্ধ জাগরণ এবং জাতীয় উৎসবে রূপান্তর ঘটেছে। এসব দিক বিচারে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।