Academy

হাঙ্গেরিবাসীরা বছরের শেষ দিন হাঁস, মুরগি বা কোনো ধরনের পাখির মাংস খান না। তারা বিশ্বাস করেন, উড়তে পারে এমন পাখির মাংস খেলে নতুন বছরে জীবন থেকে সব সৌভাগ্য উড়ে যাবে। তারা নতুন বছরে পরিচিত বা বন্ধুদের যে উপহার দেন, তাতে চিমনি পরিষ্কার করছেন এমন একজন শ্রমিকের ছবি থাকে। উপহারে এই ছবিটি থাকলে পুরনো বছরের সমস্ত দুঃখ নতুন বছরে মুছে যাবে বলে তারা বিশ্বাস করে।

উদ্দীপকের সাথে 'পয়লা বৈশাখ' প্রবন্ধের বৈসাদৃশ্যের দিকটি আলোচনা কর। (প্রয়োগ)

Created: 2 months ago | Updated: 2 months ago
Updated: 2 months ago

উদ্দীপক ও 'পয়লা বৈশাখ' প্রবন্ধের নববর্ষ উদ্যাপনের মধ্যে কুসংস্কারগত বৈসাদৃশ্য বিরাজমান। 

পয়লা বৈশাখ বাংলা সনের প্রথম মাসের প্রথম দিন। এই দিনটি বাঙালির আনন্দ উৎসবের দিন। বাঙালি নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই দিনটি উদ্যাপন করে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নেয়।

উদ্দীপক ও 'পয়লা বৈশাখ' প্রবন্ধে কুসংস্কারের দিক থেকে বৈসাদৃশ্য রয়েছে। বাংলা নববর্ষ জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে উদ্যাপন করা হয়। উদ্দীপকে নববর্ষ উদ্যাপনে কিছু কুসংস্কার বিদ্যমান। হাঙ্গেরির মানুষ বছরের শুরুর দিন হাঁস, মুরগি বা কোনো পাখির মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকে। কারণ তাদের ধারণা ওই দিন মাংস খেলে বছরের শুরুর দিন সৌভাগ্য উড়ে যাবে। আবার তারা বছরের শুরুর দিনে চিমনি পরিষ্কার করা শ্রমিকের ছবি উপহার দিলে পুরনো বছরে সমস্ত দুঃখ নতুন বছরে মুছে যাবে বলে মনে করেন। 'পয়লা বৈশাখ' প্রবন্ধে এ ধরনের কুসংস্কারের কথা নেই। এই দিনটি বাঙালি আনন্দের সঙ্গে পালন করে। খাবার, পোশাক-পরিচ্ছদে অভিন্নতা প্রকাশ পায়। এদিক থেকে উদ্দীপক ও প্রবন্ধের বৈসাদৃশ্য ফুটে উঠেছে।

2 months ago

বাংলা সাহিত্য

Please, contribute to add content.
Content
Promotion