গ্রামীণ বাংলা নববর্ষ উৎসব ক্ষুদ্র, সাধারণ ও সামান্যতা নিয়ে নগরে আসে। এখন তা নগরে নতুন আঙ্গিকে বিশালভাবে বিন্যস্ত হয়ে নানা অর্থপূর্ণ মেসেজ দিচ্ছে এবং প্রতিবছরই রাজধানীতে নতুন তাৎপর্যে ব্যঞ্জনাময় হয়ে উঠেছে এবং এখন ধীরে ধীরে শহর, গঞ্জ হয়ে নতুনরূপে আবার গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের দিকে যাচ্ছে। সংস্কৃতির চক্রমন ও প্রান্তবদল আকর্ষণীয়। যে-উৎসে এক সময়ে এর শুরু সেখানেই আবার ভিন্ন অবয়বে, আধুনিক শৈলীতে নতুন করে গড়ে উঠবে বাংলা নববর্ষের উৎসব।
সম্পর্ক থাকলেও উদ্দীপকটিতে 'পয়লা বৈশাখ' প্রবন্ধের মূলভাবের পূর্ণ প্রতিফলন ঘটেনি। মন্তব্যটি যথার্থ।
বাংলা নববর্ষ উৎসব বাঙালির প্রাণের উৎসব। প্রাচীনকাল থেকেই বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনের ধারণা তৈরি হয়। এটি বাঙালির মাঝে ক্রমশ ব্যাপকতা লাভ করে। বাংলা সনের প্রথম দিন পয়লা বৈশাখে সবাই আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠে।
উদ্দীপকে বাঙালি জাতিসত্তার সঙ্গে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনের নিবিড় সম্পর্কের দিকটি তুলে ধরা হয়েছে। এখানে গ্রামীণ বাংলা নববর্ষ উৎসব নগরে এসে সামান্য থেকে বৃহৎ রূপ পরিগ্রহের বিষয়টি নির্দেশিত হয়েছে। এছাড়া নববর্ষ উৎসবের চক্রায়নের কথা বলা হয়েছে। প্রথমে এই উৎসব গ্রাম থেকে শহরে, পরে শহর থেকে গ্রামে প্রত্যাবর্তন করে ব্যাপক বিস্তার লাভ করেছে। বাংলাদেশের সর্বত্র আনন্দঘন পরিবেশে বাংলা নববর্ষ উৎসব পালনের এ বিষয়টির সঙ্গে 'পয়লা বৈশাখ' প্রবন্ধের পয়লা বৈশাখ উদ্যাপনের মিল রয়েছে। এ বিষয়টি ছাড়াও প্রবন্ধে আরও কিছু বিষয় রয়েছে।
'পয়লা বৈশাখ' প্রবন্ধে লেখক বাংলা নববর্ষ পালনের ঐতিহাসিকতা, ঔপনিবেশিক রাজত্বে এ উৎসব পালনের বাধা এবং জাতীয়তাবাদী চেতনার যে ইতিবাচক ভূমিকার কথা বলেছেন তা উদ্দীপকে নেই। বাঙালি ঐতিহ্য, বাংলা সংস্কৃতির ধারণা ও লালনের যে গুরুত্ব লেখক তুলে ধরেছেন তাও উদ্দীপকে অনুপস্থিত। এ দিক থেকে প্রশ্নোক্ত মন্তব্যটি যথার্থ।