হৃদয় প্রতিষ্ঠিত একজন যুবক। নিজের গ্রামের উন্নয়নের জন্য নৈশ বিদ্যালয়, রাস্তা সংস্কার, সেবা কেন্দ্র ইত্যাদি কল্যাণমূলক কাজ করেছেন। গ্রামের ধর্ম, বর্ণ, ধনী, গরিব, পাপী, সাধু, নারী, পুরুষ প্রত্যেকের সঙ্গেই তিনি সদ্ভাব বজায় রেখেছেন। তাই সকলেই তাকে খুব পছন্দ করে।
স্বাধীন বা মুক্ত হওয়ার জন্য হৃদয়ের এই একটি দিকই যথেষ্ট নয়। তাকে যীশুর দেওয়া আরও কিছু শিক্ষা অর্জন করতে হবে। মানুষ কী করে স্বাধীন হতে পারে, সে বিষয়ে যীশু আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন। এক্ষেত্রে প্রথমে নিজের সম্পর্কে জানার শিক্ষা মায়েছেন। কারণ নিজেকে জানতে পারলে আমাদের ভুল ধারণার অবসান হয়, এতে আমরা নিজের সম্বন্ধে একটি সত্যকে গ্রহণ দিয়েছো আমাদের স্বাধীন করে তুলতে সহায়তা করে। তাছাড়া স্বাধীনতার প্রধান বাধা হলো ভয়। ভয়ের কারণে মানুষ মিথ্যা বলে কানিজের আসল সত্ত্বাকে প্রকাশ করতে পারে না। তাই হৃদয়কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে এবং ভয়মুক্ত হতে হবে। ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস ও আস্থা রাখতে হবে। কারণ ঈশ্বর নিজেই আমাদের পবিত্র আত্মা ও স্বাধীনতা দান করেছেন। দায়িত্বশীল ও পরিপক্ আচরণ মানুষকে স্বাধীন করে তোলে। সঠিক সিদ্ধান্ত ও আচরণের মধ্য দিয়ে আমরা মুক্ত মানুষ হয়ে উঠি। তাই হৃদয়কে দায়িত্বশীলতা ও পরিপক্বতা বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করে তা কাজে লাগাতে হবে। দায়িত্বশীল ও পরিপক্ক মানুষ নিজের ভুলগুলোও সহজে স্বীকার ও গ্রহণ করতে পারে বা এগুলোকে জীবনের অংশ মনে করে। হৃদয়কে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠতে হবে। ভালো মন্দের বিচারবোধ জাগ্রত করতে হবে। সুতরাং বলা যায়, হৃদয়ের এ একটি দিকে কাজ করলেই হবে না, তাকে স্বাধীন বা মুক্ত হওয়ার জন্য আরও বেশ কয়েক ধরনের কাজ করে যেতে হবে। তাহলেই মুক্তি আসবে।
মূলকথা: যীশুর দেওয়া শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে মানষ পূর্ণ স্বাধীন হয়ে উঠতে পারে।