ওসান একজন ধনী যুবক। সে একদিন রাস্তায় বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালাচ্ছিল। হঠাৎ সুমন নামে একজন রিকশাচালক তার গাড়ির সামনে পড়ল এবং সুমনের রিকশাটি উল্টে পড়ে গেল। ওসান গাড়ি থেকে নেমে এসে চোখ রাঙিয়ে সুমনকে বলল, "তোর দুই টাকার রিকশা, আমার লক্ষ টাকার গাড়িতে ধাক্কা লাগিয়েছিস? তোর ক্ষমা নেই।'- এই বলে সুমনের গালে আঘাত করল। ওসানের বান্ধবী জুলি বলল, তুমি ওকে মারলে কেন? তোমারইতো দোষ। তুমি তোমার ভুল স্বীকার কর। নত ও সরল হও এবং যীশুকে বিশ্বাস কর।'
উদ্দীপকে জুলি ওসানকে আবেগিক মুক্তির পরামর্শ দিয়েছেন।
খ্রিষ্টীয় জীবনের প্রথম আন হলো মুক্তি বা পরিত্রাণ লাভ করা। মানুষ নানা রকম আত্মদ্বন্দ্ব, ভয়, হিংসা, অহঙ্কার, লোভলালসা, স্বার্থপরতার বেড়াজালে আটকে গিয়েছিল। ঈশ্বর মানুষের মনের দ্বন্দ্ব নিরসন করে তার মনের ভয়ভীতি, হিংসা, অহঙ্কার, লোভলালসা ও স্বার্থপরতার বেড়াজাল থেকে মুক্ত করে মানুষকে স্বাধীন ও আনন্দময় জীবনদান করতে চেয়েছেন। মানুষের মন থেকে পাপ কালিমা মুছে দিতে চেয়েছেন। যারা তাকে বিশ্বাস করে, তারা সেই স্বাধীন ও আনন্দময় জীবন লাভ করে। উদ্দীপকে ওসান ধনী যুবক ও তার মনে আত্মোহঙ্কার ছিল। সে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালাতে গিয়ে সুমনের রিকশা উল্টিয়ে দেয়। অথচ ওসান গাড়ি থেকে নেমে আত্মোহষ্কার ও স্বার্থপরতার বেড়াজালে আটকে সুমনকে দোষারোপ করে ও শাস্তি দেয়। এ কারণে ওসানের খ্রিষ্টবিশ্বাসী বান্ধবী জুলি তাকে এ আত্মোহঙ্কার থেকে নিজেকে মুক্ত করে নিজের দোষ স্বীকার করতে বলে। এতে ওসানের আবেগিক মুক্তি ঘটবে। তাই বলা যায়, উদ্দীপকে জুলি ওসানকে আবেগিক মুক্তির পরামর্শ দেয়।
মূলকথা: আবেগিক মুক্তির দিকটি ফুটে উঠেছে।