প্রিতম প্রতিষ্ঠিত একজন যুবক। নিজের গ্রামের উন্নয়নের জন্য নৈশবিদ্যালয়, রাস্তা সংস্কার, সেবাকেন্দ্র ইত্যাদি কল্যাণমূলক কাজ করছেন। গ্রামের ধর্ম, বর্ণ, ধনী, গরিব, পাপী, সাধু, নারী-পুরুষ প্রত্যেকের সঙ্গেই তিনি সদ্ভাব বজায় রাখেন। তাই সবাই তাকে পছন্দ করে।
প্রিতমের মধ্যে পাঠ্যবইয়ে আলোচিত যীশুর চরিত্রের পূর্ণরূপ তুলে ধরা হয়েছে। এর বিশ্লেষণ হলো-
> যীশু যাকিছু করেছেন ও বলেছেন তার মধ্যে অধিকার ও স্বাধীনতা ছিল। তিনি রোগীদের রোগ নিরাময় করেছেন, অপদূত দূর করেছেন, ফরিসি ও বিধান পণ্ডিতদের তিরষ্কার করেছেন। যে নিয়ম দ্বারা মানুষের কোনো কল্যাণ সাধিত হয় না তিনি নির্দ্বিধায় সেই নিয়মকে উপেক্ষা করেছেন। বিশ্রামবারের প্রচলিত নিয়ম লঙ্ঘন করে তিনি রোগীদের সুস্থ করেছেন।
> যীশু এ পৃথিবীতে এসেছিলেন সব মানুষের জন্য। ধর্ম, বর্ণ, ধনী, গরিব, পাপী, সাধু, নারী, পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধ, ইহুদি ও বিজাতি নির্বিশেষে সবাইকে তিনি ভালোবেসেছেন। তিনি নিজে ইহুদি হয়েও সবার সাথে অবাধে মেলামেশা করেছেন। নিজের প্রচলিত প্রথা ও গণ্ডি অক্রিম করেছেন এবং এটা তার স্বাধীন জীবনেরই বহিঃপ্রকাশ। > মানুষের মুক্তির জন্য যীশুর সবচেয়ে বড় শিক্ষা হলো পরস্পরকে ভালোবাসা ও সেবা করা। শেষ ভোজের সময় শিষ্যদের পা ধুয়ে দিয়ে তিনি এ শিক্ষা আমাদের সবার জন্য রেখে গেছেন। ভালোবেসে ও সেবা করে তিনি নিজেও স্বাধীনতা প্রকাশ করেছেন এবং আমাদের স্বাধীনতার পথনির্দেশ দিয়েছেন।
> যীশুর সবচেয়ে বড় স্বাধীনতা হলো ঈশ্বর হয়েও মানুষ হওয়া। যীশু হলেন ঈশ্বরের একমাত্র স্বাধীন সন্তান, যিনি পিতার ভালোবাসা নিজ জীবনে বুঝেছিলেন এবং সবাইকে ঐশ সন্তান হয়ে ঈশ্বরকে পিতা বলে ডাকতে শিখিয়েছেন। এ স্বাধীনতা যীশ। ছাড়া আর কারও নেই।
সুতরাং বলা যায়, ঈশ্বরপুত্র যীশু এ পৃথিবীতে এসে মানুষের সর্বময় কল্যাণ সাধন করেছেন। যীশ স্বাধীনভাবে পিতার ইচ্ছাকে গ্রহণ করে যন্ত্রণাময় মৃত্যুকে বরণ করে নিয়েছিলেন। প্রিতমের মধ্যে যীশুর চরিত্রের পূর্ণরূপ না হলেও অনেকটাই প্রকাশ পেয়েছে।
মূলকথা: যীশুর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য।