তুণা ও তৃষা যমজ বোন। বাহ্যিক চেহারা, গায়ের রং, উচ্চতা, কথা বলার ধরন সবই এক রকম। বুদ্ধির দিক থেকে প্রায় কাছাকাছি। তৃষা গরিব সহপাঠীদের লেখাপড়ার ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগিতা করে। পিতামাতার বাধ এবং লেখাপড়ার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তার যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। অপরদিকে তৃণা অলস, অন্যের প্রতি অমনোযোগী, নিজের সুযোগ-সুবিধার প্রতি নজর বেশি।
তৃণা ও তৃষার মধ্যে যে পার্থক্য, তাকে বলা হয় ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য। নিচে তা ব্যাখ্যা করা হলো-
ব্যক্তিস্বাতন্ত্র বলতে আমরা বুঝে থাকি ব্যক্তি ও ব্যক্তিত্বের ভিন্নতা। সাধারণভাবে পৃথিবীর সব মানুষ একই রকম অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিয়ে গঠিত হলেও প্রত্যেক মানুষের ব্যক্তিত্ব আলাদা বা ভিন্ন। মানুষের এ ভিন্নতা চেহারা, আকৃতি, আচরণ, চিন্তাধারা, বোধশক্তি, পছন্দ অপছন্দ ইত্যাদির মধ্যে প্রকাশ পায়। একজন মানুষ থেকে অন্য মানুষের এ মৌলিক পার্থক্যগুলোকেই আমরা ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য বলে থাকি। মানুষের ব্যক্তিস্বাতরে প্রথম বৈশিষ্ট্যই হলো শারীরিক গঠন ও আকৃতিগত দিক। এ বৈশিষ্ট্যের জন্যই একই মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নেওয়া বা যমজ ভাইবোন একজন আরেকজনের মতো নয়। দেখতে বা উচ্চতায় মিল থাকলেও কোনো না কোনো দিকে ভিন্নতা আছে। এ ভিন্নতাই পরিলক্ষিত হয় উদ্দীপকের তৃণা ও তৃষার মধ্যে।
মূলকথা: ব্যক্তিস্বাতন্ত্রের জন্যই মানুষে মানুষে পার্থক্য হয়।