তুণা ও তৃষা যমজ বোন। বাহ্যিক চেহারা, গায়ের রং, উচ্চতা, কথা বলার ধরন সবই এক রকম। বুদ্ধির দিক থেকে প্রায় কাছাকাছি। তৃষা গরিব সহপাঠীদের লেখাপড়ার ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগিতা করে। পিতামাতার বাধ এবং লেখাপড়ার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তার যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। অপরদিকে তৃণা অলস, অন্যের প্রতি অমনোযোগী, নিজের সুযোগ-সুবিধার প্রতি নজর বেশি।
তৃণা ও তৃষার মধ্যে যে পার্থক্য তা হলো ব্যক্তিস্বাত। এর ইতিবাচক ও নেতিবাচক দুই ধরনের ফলাফলই রয়েছে। নিচে তা মূল্যায়ন করা হলো ব্যক্তিস্বাতন্ত্রের মাধ্যমে মানুষের ব্যক্তিত্বের সৌন্দর্যের দিকটি প্রকাশিত হয়। তবে অনেক সময় মানুষের ভিন্নতা গ্রহণ করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে। পেশাগত ও কর্মজীবনে ভিন্নতা আছে বলেই আমরা একে অপরের কাছ থেকে সব ধরনের সেবা পাচ্ছি। কিন্তু এ বৈচিত্র্য ও ভিন্নতার কারণে দ্বন্দ্ব ও বিরোধের সৃষ্টি হয়। ভিন্নতার কারণেই ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হতে পারে। বৈচিত্র্যে আমরা পরস্পরের কাছে প্রয়োজনীয় ও পরিপূরক হই। অপরদিকে সচেতনতা নিয়ে ভিন্নতাগুলোকে সমন্বয় করতে না পারলে বিচ্ছিন্নতা আসতে পারে। আবার ভিন্নতার ঐক্য এলে তাতে সমন্বয় সাধনের সুযোগ থাকে। অপরদিকে ব্যক্তিস্বাতন্ত্রকে ঠিকভাবে শনাক্ত করতে না পারলে আমরা ব্যক্তিকে অবমূল্যায়নও করতে পারি। আমাদের ব্যক্তিস্বাতন্ত্রের দিকটিকে দুর্বলতা হিসেবে না দেখে শক্তি হিসেবে দেখা উচিত।
মূলকথা: ব্যক্তিস্বাতন্ত্রের মেতিবাচক দিক না দেখে ইতিবাচক দিকগুলো গ্রহণ করা উচিত।