মাইকেল একজন সরকারি কর্মকর্তা। তিনি মণ্ডলীর কমিটির প্রধানও বটে। নিজের কাজের পাশাপাশি সমাজে বিভিন্ন কাজের সাথে জড়িত। তিনি গির্জায় বাইবেল পাঠ করেন এবং সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সমাজে গরিব-দুঃখীর পাশে দাঁড়ান। তিনি সব ধরনের মানুষের সাথে মেলামেশা করেন এবং সবাইকে শ্রদ্ধা ও সম্মান করেন। তিনি বিশ্বাস করেন এভাবেই ঈশ্বরের রাজ্য লাভ করা সম্ভব।
উদ্দীপকের মাইকেলের মাঝে সেবাকাজের যে দিকটি লক্ষ করা যায় তা হলো- 'মানুষকে সেবা করার মধ্য দিয়ে ঈশ্বরকে সেবা করা'। আমাদের জন্ম ও জীবন নিজের জন্য নয়, পরের কল্যাণের জন্য ও ঈশ্বরের জন্য। ঈশ্বরের বিভিন্ন সৃষ্টির দিকে লক্ষ করলে সহজে উপলব্ধি করা যায় যে তারা নিজেকে বিলিয়ে দেয় পরের জন্য। যেমন: বায়ু মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে, ফুল ঘ্রাণ ও সৌন্দর্য বিলায় প্রভৃতি। তেমনি মাইকেল সরকারি কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি মণ্ডলীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সমাজের গরিব-দুঃখীর পাশে দাঁড়ান, সবাইকে সম্মান, শ্রদ্ধা করেন ও ভালোবাসেন। এসবের মাধ্যমে তিনি ঈশ্বরের সেবা করেন এবং ঈশ্বরের রাজ্য লাভ করতে চান। আমাদের জীবন ঈশ্বরের দান। আমাদের সব গুণাবলি, শক্তি, প্রতিভা সবকিছু ঈশ্বরের প্রতি সেবাদান ও তার গৌরব প্রকাশ এবং মানুষের সেবার জন্য। আমাদের প্রতিটি সেবাকাজই তার গুণ ব্যবহার করার জন্য। সেবাকাজের মাধ্যমে আমরা নিজেকে দান করি। পরের কল্যাণে আত্মনিবেদন করে আমরা জীবন সার্থক করি। এটি হলো ঈশ্বরের কাছ থেকে আমাদের জন্য একটি বিশেষ জীবন আহ্বান। পরিবার ও সামাজিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান হলো আমাদের সেবার ক্ষেত্র। শিক্ষাদানের মাধ্যমে অজ্ঞতা নিরসন, কর্মসংস্থানের দ্বারা দারিদ্র বিমোচন, অসুস্থদের সেবা করা, মণ্ডলীর কাজে যুক্ত থাকা প্রভৃতি উপায়ে সেবাকাজে আত্মনিবেদন করা যায়। এই সেবাকাজের মাধ্যমে ঈশ্বরের অমূল্যদান আমাদের জীবন সার্থক করা যায়।
মূলকথা: মাইকেল সেবাকাজে আত্মদান করেছেন।