মাইকেল একজন সরকারি কর্মকর্তা। তিনি মণ্ডলীর কমিটির প্রধানও বটে। নিজের কাজের পাশাপাশি সমাজে বিভিন্ন কাজের সাথে জড়িত। তিনি গির্জায় বাইবেল পাঠ করেন এবং সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সমাজে গরিব-দুঃখীর পাশে দাঁড়ান। তিনি সব ধরনের মানুষের সাথে মেলামেশা করেন এবং সবাইকে শ্রদ্ধা ও সম্মান করেন। তিনি বিশ্বাস করেন এভাবেই ঈশ্বরের রাজ্য লাভ করা সম্ভব।
'সেবাকাজে মাইকেল যেন যীশুর প্রতিনিধি।' উক্তিটির যথার্থতা মূল্যায়নে বলা যায়, যীশু ঈশ্বরপুত্র হয়েও এ পৃথিবীতে এসে মানবসেবায় নিজেকে নিবেদন করেছেন। তিনি মানুষকে রোগমুক্ত করেছেন, দরিদ্র, অসহায় ও ক্ষমতাহীনদের পক্ষ নিয়েছেন। নিঃশর্তভাবে মানুষকে ভালোবেসেছেন। মানুষের প্রতি পিতার ভালোবাসার কথা প্রচার করেছেন। তিনি মানুষকে শিখিয়েছেন ঈশ্বরকে পিতা বলে ডাকতে। সব মানুষকে ঐশরাজ্যের সন্তান হওয়ার অধিকার দিয়েছেন। শিশুকালেই যীশুর পিতামাতা যীশুকে মন্দিরে নিবেদন করেছেন। বালক যীশু বারো বছর বয়সে পিতার কাজে বাবা মায়ের অজান্তে মন্দিরে থেকে যান এবং ধর্ম বিষয়ে পণ্ডিতদের সাথে আলোচনা করেন। প্রকাশ্য জীবনে কাজ শুরু করার পূর্বে যীশু চল্লিশ দিনের উপবাস ও ধ্যান প্রার্থনার জন্য গেলে শয়তান যীশুকে প্রলোভনে ফেলার চেষ্টা করে। খীশু কঠোরভাবে এ প্রলোভন জয় করে ঈশ্বরের ইচ্ছা পূরণ করেন এবং মানুষের সেবা করার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেন। তিনি সব ক্ষমতা ও শক্তি দিয়ে মানবসেবা করেছেন। মানুষকে তিনি পাপমুক্ত করেছেন এবং আশাহীনকে আশার বাণী শুনিয়ে সাহস দিয়েছেন। যীশু শেষ ভোজের সময় নিজ হাতে শিষ্যদের পা ধুয়ে দিয়ে সেবার আদর্শ প্রতিষ্ঠা করেছেন। সর্বশেষে মানুষকে পাপমুক্ত করার জন্য যন্ত্রণাময় ক্রুশীয় মৃত্যু গ্রহণ করেন। যীশুর এসব কাজের উদ্দেশ্য ছিল মানুষের সেবা করা। উদ্দীপকের মাইকেলের কাজের উদ্দেশ্যও ছিল মানব সেবা করা।
মূলকথা: মানবসেবায় আত্মনিবেদন।