আনন্দপুর গ্রামের অরিন্দমকে ভালো ছেলে বলে সবাই চেনে। বড়দের সম্মান, ছোটদের ভালোবাসা, সমবয়সীদের সাথে সব বজায় রেখে চলে। মানুষের উপকার করতে সে খুব ভালোবাসে। কেউ অসুস্থ হলে সে সেবার জন্য এগিয়ে যায়। মানুষকে সেবা ও ভালোবাসার জন্যই সে সবার প্রিয়পাত্র।
উদ্দীপকের অরিন্দমের মধ্যে সেবাকাজের 'সমাজ' ক্ষেত্রটি লক্ষ করা যায়। এ সম্পর্কে নিচে বর্ণনা করা হলো-
পৃথিবীতে অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি রয়েছেন, যারা মানবসেবায় জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাদের কাছ থেকে আমরা সেবামূলক কাজে অনুপ্রাণিত হই। পরিবার থেকেই আমরা সেবা করতে শিখি। পরিবার হলো সমাজের অংশ। প্রতিবেশী ও সমাজের সেবা করতে করতে আমরা আত্মনিবেদন করতে শিখি এবং পরিবারের কাছ থেকে পাওয়া অনুপ্রেরণা আমরা সমাজে প্রয়োগ করে থাকি। ধীরে ধীরে আমরা আমাদের আশপাশে যেসব সামাজিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেখানে আমরা সেবা দিতে পারি; যেমন: হাসপাতালে কোনো কল্যাণমূলক সংগঠন, সংঘ, সমিতি ইত্যাদি।
আমাদের মনে রাখতে হবে, জন্ম ও জীবন পরার্থে; নিজের জন্য নয়। কবি বলেছেন, "পুষ্প আপনার জন্য ফোটে না, পরের জন্য তোমার হৃদয়কুসুমকে প্রস্ফুটিত করিও।" প্রতিটি সৃষ্টির দিকে তাকালে আমরা খুব সহজেই এ সত্য উপলব্ধি করতে পারি। ফুল তার আপন সৌন্দর্য ও গন্ধ বিলিয়ে সবাইকে আনন্দ দেয়। পশুপাখি, ফলফলাদি, ফসলও খাদ্যরূপে অন্যের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দেয়। বায়ু সেবন করে আমরা বেঁচে থাকি। এসবই পরের সেবায় নিজেকে নিযুক্ত করে।
মূলকথা: অরিন্দম সমাজসেবামূলক কাজে নিয়োজিত।