শুভার্থী সমাজসেবী পরিবারের রূপবতী মেয়ে। তিনি যথাসময়ে শিক্ষা সমাপ্ত করেন। তাই শুভার্থীর পিতা তাঁকে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করতে চেয়েছিলেন। শিক্ষিত, অশ্বচালনা ও সকল বিষয়ে পারদর্শী এক যুবকের সাথে বিবাহের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। তাঁদের সুখের সংসারজীবন বেশি দিন স্থায়ী হয়নি বরং শুভার্থীর স্বামী মনের বাসনা পূরণের জন্য বৈরাগ্য জীবন গ্রহণের লক্ষ্যে চলে গেলেন এবং পরমজ্ঞান লাভে ব্রতী হন।
বয়োবৃদ্ধ হেতু ভাবী বুদ্ধের অমিয়বাণী শোনার সৌভাগ্য হবে না জেনে মহর্ষি কালদেবল রাজকুমারকে দেখে প্রথমে খুশি হয়ে পরে কেঁদে ফেললেন।
মহর্ষি কালদেবল রাজকুমার সিদ্ধার্থকে দেখে প্রথমে খুশি হলেন। কারণ তিনি জানতেন এই কুমার মহাজ্ঞানী বুদ্ধ হবেন, জগৎকে দুঃখমুক্তির পথ প্রদর্শন করবেন। কিন্তু তখন তিনি ছিলেন বয়োবৃদ্ধ। তিনি বুদ্ধের অমিয় বাণী শুনতে পারবেন না, বহুপূর্বেই তার মৃত্যু হবে, তাই তিনি পরে কেঁদে ফেললেন।