শুভার্থী সমাজসেবী পরিবারের রূপবতী মেয়ে। তিনি যথাসময়ে শিক্ষা সমাপ্ত করেন। তাই শুভার্থীর পিতা তাঁকে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করতে চেয়েছিলেন। শিক্ষিত, অশ্বচালনা ও সকল বিষয়ে পারদর্শী এক যুবকের সাথে বিবাহের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। তাঁদের সুখের সংসারজীবন বেশি দিন স্থায়ী হয়নি বরং শুভার্থীর স্বামী মনের বাসনা পূরণের জন্য বৈরাগ্য জীবন গ্রহণের লক্ষ্যে চলে গেলেন এবং পরমজ্ঞান লাভে ব্রতী হন।
উদ্দীপকের ঘটনাটির সাথে পাঠ্যবইয়ের সিদ্ধার্থ গৌতম ও যশোধরা - গোপাদেবীর বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার ঘটনার তুলনা করা হয়েছে। রাজা শুদ্ধোদন গোপার পিতা দণ্ডপাণির নিকট পুত্রের বিবাহের আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাঠান। প্রস্তাব পেয়ে দণ্ডপাণি আনন্দিত হলেন। কিন্তু কুলপ্রথা অনুযায়ী তাঁদের কন্যার পাণিপ্রার্থীকে অশ্বচালনা, ধনুর্বাণ, অসিচালনা প্রভৃতিতে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে হবে। অতএব নির্ধারিত দিনে দেশ-বিদেশের ক্ষত্রিয় কুমারদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হলেন রাজকুমার সিদ্ধার্থ। অশ্বচালনা, ধনুর্বাণ, অসিচালনা একে একে সবকটিতেই তিনি জয়লাভ করে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করলেন। সভামঞ্চে গোপা সিদ্ধার্থের গলায় বরমাল্য পরিয়ে দিলেন ।
উদ্দীপকের শুভার্থীর পিতা কন্যাকে পাত্রস্থ করার জন্য পাত্রের যে যোগ্যতা নির্ণয় করেছিলেন তা হলো শিক্ষিত, অশ্বচালনা ও সকল বিষয়ে পারদর্শিতা। ঠিক একই রকমভাবে সিদ্ধার্থ ও যশোধরা গোপাদেবীর বিয়েতে গোপাদেবীর পিতা রাজা দণ্ডপাণি পাত্রের উপর্যুক্ত যোগ্যতা নির্ধারণ করেছিলেন।