শুভার্থী সমাজসেবী পরিবারের রূপবতী মেয়ে। তিনি যথাসময়ে শিক্ষা সমাপ্ত করেন। তাই শুভার্থীর পিতা তাঁকে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করতে চেয়েছিলেন। শিক্ষিত, অশ্বচালনা ও সকল বিষয়ে পারদর্শী এক যুবকের সাথে বিবাহের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। তাঁদের সুখের সংসারজীবন বেশি দিন স্থায়ী হয়নি বরং শুভার্থীর স্বামী মনের বাসনা পূরণের জন্য বৈরাগ্য জীবন গ্রহণের লক্ষ্যে চলে গেলেন এবং পরমজ্ঞান লাভে ব্রতী হন।
শুভার্থীর স্বামী তাঁর মনের বাসনা পূরণে গৌতম বুদ্ধকে শতভাগ অনুসরণ করেছেন।
সিদ্ধার্থ গৌতম গোপাদেবীর সাথে বিবাহের পর সংসারে বেশিদিন স্থায়ী হননি। সিদ্ধার্থ নগর ভ্রমণে বেরিয়ে জরা, ব্যাধি, মৃত্যু ও সন্ন্যাসী দেখে মানব জীবনের পরিণতি সম্যকভাবে উপলব্ধি করেছেন। চারি নিমিত্ত দর্শনের পর সিদ্ধার্থ গৌতমের মনে শান্তি ছিল না। সব সময় তিনি চিন্তামগ্ন থাকতেন আর ঐ সন্ন্যাসীর গভীর ধ্যানমগ্ন দৃশ্যটি গৌতমের মনে দাগ কেটেছে। তিনি দুঃখমুক্তির সন্ধানে সিদ্ধান্ত নিলেন গৃহত্যাগ করে বৈরাগ্য জীবন গ্রহণ করবেন।
উদ্দীপকের শুভার্থীর সুখের সংসার বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। শুভার্থীর স্বামী মনের বাসনা পূরণের জন্য বৈরাগ্য জীবন গ্রহণের লক্ষ্যে চলে গেলেন।
তাই বলা যায়, শুভার্থীর স্বামী সুখের সংসার ত্যাগ করে সিদ্ধার্থ গৌতমকে অনুসরণ করেন।