অনেকদিন হলো সুমন ও সুমনার বিয়ে হয়েছে। তাদের কোনো অভাব নেই। কিন্তু সংসারে কোন সন্তান না থাকায় তাদের মনে কোনো শান্তি ছিল না। এক রাতে ঘুমের মধ্যে সুমনা এক সুন্দর স্বপ্ন দেখলেন। তিনি স্বপ্নের কথা সুমনকে জানালেন। সুমন সীমা বিহারের ভিক্ষুর কাছে স্বপ্নের কথা বিস্তারিত বললেন। ভিক্ষু শীঘ্রই সুমন-সুমনার মা-বাবা হওয়ার সুসংবাদ দিলেন।
আষাঢ়ী পূর্ণিমার উৎসব শেষ করে রানি মায়াদেবী এক অপূর্ব সুন্দর স্বপ্ন দেখলেন।
চারদিক থেকে চার দিকপাল দেবতারা এসে রানিকে সোনার পালঙ্কে তুলে নিয়ে গেলেন হিমালয় পর্বতের মানস সরোবরে। এখানে দেবতাদের মহিষীরা মায়াদেবীকে স্নান করিয়ে সুবাসিত দিব্যবস্ত্রে ভূষিত করলেন। রানি আরো দেখলেন, তিনি সোনার পালঙ্কে শুয়ে আছেন এবং পাশের স্বর্ণপর্বত থেকে এক শ্বেতহস্তী নেমে এলো, শুঁড়ে ছিল একটি শ্বেতপদ্ম। শ্বেতহস্তীটি রানির পালঙ্কের চারপাশে তিনবার প্রদক্ষিণ করে জঠরের দক্ষিণ দিকে শ্বেতপদ্মটি প্রবেশ করিয়ে দিল।