অনেকদিন হলো সুমন ও সুমনার বিয়ে হয়েছে। তাদের কোনো অভাব নেই। কিন্তু সংসারে কোন সন্তান না থাকায় তাদের মনে কোনো শান্তি ছিল না। এক রাতে ঘুমের মধ্যে সুমনা এক সুন্দর স্বপ্ন দেখলেন। তিনি স্বপ্নের কথা সুমনকে জানালেন। সুমন সীমা বিহারের ভিক্ষুর কাছে স্বপ্নের কথা বিস্তারিত বললেন। ভিক্ষু শীঘ্রই সুমন-সুমনার মা-বাবা হওয়ার সুসংবাদ দিলেন।
উদ্দীপকের ঘটনাটি পাঠ্যবইয়ের সিদ্ধার্থ গৌতমের জন্মের পূর্বে মহামায়া দেবীর স্বপ্ন দর্শনের ঘটনার ইঙ্গিত বহন করে।
হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত কপিলাবস্তু রাজ্যের রাজা শুদ্ধোদন ও রানি মহামায়ার সন্তান না হওয়ায় তাদের মনে শান্তি ছিল না। কিন্তু একদিন আষাঢ়ী পূর্ণিমা রাতে রানি মহামায়া স্বপ্ন দেখলেন দেবতাদের মহিষীরা মায়াদেবীকে স্নান করিয়ে সুবাসিত দিব্যবস্ত্রে ভূষিত করলেন। স্বর্ণপর্বত থেকে শ্বেতহস্তী শুঁড়ে করে পদ্মফুল নিয়ে নেমে এসে রানিকে প্রদক্ষিণ করে জঠরের দক্ষিণ দিকে শ্বেতপদ্মটি প্রবেশ করিয়ে দিলেন। তিনি পরদিন সকাল বেলা রাজাকে স্বপ্নের কথা বললেন এবং রাজা সকল রাজজ্যোতিষীর কাছে স্বপ্নের ব্যাখ্যা চাইলেন। রাজজ্যোতিষীরা বললেন, রানি মায়াদেবীর পুত্রসন্তান লাভ হবে এবং সে সন্তান হবে সর্বজীবের দুঃখ হরণকারী।
উদ্দীপকে সুমন ও সুমনার বিয়ে হয়েছে অনেক দিন হলো। তাদের কোনো সন্তান ছিল না। এক রাতে ঘুমের মধ্যে সুমনা এক সুন্দর স্বপ্ন দেখলেন। তিনি স্বপ্নের কথা স্বামী সুমনকে জানালে সুমন ভিক্ষুর কাছে স্বপ্নের কথা বিস্তারিত বললেন। ভিক্ষু শিগ্রই সুমনা-সুমনের মা-বাবা হওয়ার সুসংবাদ দিলেন। এ ঘটনা সিদ্ধার্থ গৌতমের জন্মের পূর্বে মহামায়া দেবীর স্বপ্ন দর্শনের ঘটনার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। তাই বলা যায়, উদ্দীপকের ঘটনাটি সিদ্ধার্থ গৌতমের জন্মের পূর্বে মহামায়া দেবীর স্বপ্ন দর্শনের ঘটনার ইঙ্গিত বহন করে।