অনেকদিন হলো সুমন ও সুমনার বিয়ে হয়েছে। তাদের কোনো অভাব নেই। কিন্তু সংসারে কোন সন্তান না থাকায় তাদের মনে কোনো শান্তি ছিল না। এক রাতে ঘুমের মধ্যে সুমনা এক সুন্দর স্বপ্ন দেখলেন। তিনি স্বপ্নের কথা সুমনকে জানালেন। সুমন সীমা বিহারের ভিক্ষুর কাছে স্বপ্নের কথা বিস্তারিত বললেন। ভিক্ষু শীঘ্রই সুমন-সুমনার মা-বাবা হওয়ার সুসংবাদ দিলেন।
উদ্দীপকের সুমনার পুত্র একজন মহামানব অর্থাৎ সিদ্ধার্থ গৌতমের প্রতিচ্ছবি।
উদ্দীপকে দেখা যায়, এক রাতে ঘুমের মধ্যে নিঃসন্তান সুমনা সুন্দর স্বপ্ন দেখলেন। তিনি স্বপ্নের কথা স্বামী সুমনকে জানালেন। সুমন সীমা বিহারের ভিক্ষুর কাছে স্বপ্নের কথা বিস্তারিত বললেন। ভিক্ষু শীঘ্রই সুমনা-সুমনকে মা-বাবা হওয়ার সুসংবাদ দিলেন।
যেমনটি রানি মহামায়ার স্বপ্নের কথা শুনে রাজজ্যোতিষীরা বলেছিলেন। তারা বলেন, মহারাজ সুসংবাদ আছে, আনন্দ করুন। রানি মায়াদেবীর পুত্রসন্তান হবে। শাক্যবংশে এক মহাপুরুষের আবির্ভাব হবে। তিনি জগতে বৃদ্ধ নামে খ্যাত হবেন। লুম্বিনী কাননে শালবৃক্ষের নিচে বৈশাখী পূর্ণিমার শুভক্ষণে জগতের আলো ভাবী বুদ্ধ সিদ্ধার্থ গৌতম ভূমিষ্ঠ হলেন। বাল্যকাল থেকেই তিনি ছিলেন ধ্যানী প্রকৃতির। রাজকুমার হয়েও মানুষের দুঃখমুক্তির উপায় অনুসন্ধানের জন্য তিনি গৃহত্যাগ করেন এবং সন্ন্যাস জীবন গ্রহণ করেন। তারপর কঠোর ছয় বছর সাধনায় লাভ করেন বুদ্ধত্ব। আবিষ্কার করেন দুঃখমুক্তির পথ। জীবপ্রেম, অহিংসা, সাম্য, মৈত্রী ও করুণার বাণী প্রচার করে তিনি মহাকারুণিক বুদ্ধ নামে খ্যাত হন।
পরিশেষে বলা যায়, বুদ্ধ বৌদ্ধধর্মের প্রবর্তক সিদ্ধার্থ গৌতম মানুষকে নৈতিক ও মানবিক জীবনযাপনে উদ্বুদ্ধ করে শান্তিময় সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় জগতে একজন মহামানবরূপে পরিগণিত। উদ্দীপকের সুমনার পুত্র, তারই প্রতিচ্ছবি।