Academy

কাহিনী ১. ত্রিয়ান বড়ুয়া স্কুল থেকে রাঙ্গামাটিতে শিক্ষাসফরে গেলেন। সেখানে গিয়ে দেখলেন কিছু শিকারী বন্যপশু শিকার করছে। ত্রিয়ান বড়ুয়া দেখতে পেয়ে বাধা দেন এবং প্রাণী হত্যা মহাপাপ তা বোঝানোর চেষ্টা করেন।

কাহিনী-২. গহিরা গ্রামের বটতলা বৌদ্ধ বিহারের বিহারাধ্যক্ষ শ্রদ্ধেয় জিনরত্ন ভন্তে উপাসকদের গৌতম বুদ্ধের শিষ্য ও প্রশিষ্যদের সঙ্ঘে যোগদান সম্পর্কে দেশনা করেন।

কাহিনী-১ এ গৌতমের বাল্যজীবনের কোনদিক ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর। (প্রয়োগ)

Created: 6 months ago | Updated: 6 months ago
Updated: 6 months ago
Answer :

কাহিনী-১ এ গৌতমের বাল্যজীবনে জীবের প্রতি করুণা ও ভালোবাসার দিকটি ফুটে উঠেছে।

একদিন উদ্যানে বসে কুমার প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করছিলেন। নীল আকাশে একদল সাদা হাঁস উড়ে যাচ্ছিল। সিদ্ধার্থ মুগ্ধ হয়ে ঐ সুন্দর দৃশ্য দেখছিলেন। হঠাৎ তীরবিদ্ধ হয়ে একটি সাদা হাঁস তাঁর কোলে এসে পড়ল, রক্তাক্ত হাঁসটি যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। তীরবিদ্ধ হাঁসের কষ্ট দেখে সিদ্ধার্থের অন্তর করুণায় প্লাবিত হলো। তিনি সযত্নে, তীরটি ছাড়িয়ে নিলেন। সেবা শুশ্রুষা করে হাঁসটিকে বাঁচিয়ে তুললেন। এমন সময় আরেক রাজকুমার দেবদত্ত এসে হাঁসটি দাবি করল। বলল, কুমার হাঁসটি আমার, আমি তীরবিদ্ধ করেছি। হাঁসটি আমাকে ফিরিয়ে দাও। সিদ্ধার্থ হাঁসটি ফিরিয়ে দিলেন না। তিনি বললেন, তুমি হাঁসটিকে তীরবিদ্ধ করে হত্যা করতে চেয়েছিলে। আমি ওর জীবন বাঁচিয়েছি। কার অধিকার বেশি? যে জীবন হরণ করতে চায়, তার? নাকি জীবন যে দান করেছে তার? দেবদত্ত কুমারের যুক্তি মানলেন না। এই বিবাদ বিচারের জন্য প্রবীণদের কাছে উত্থাপন করা হলো। প্রবীণরা সিদ্ধার্থ গৌতমের যুক্তিকে সমর্থন করলেন, বললেন, 'কুমার যথার্থই বলেছে।' যে জীবন দান করেছে হাঁসের ওপর তার অধিকারই বেশি।' সিদ্ধার্থ হাঁসটি সুস্থ করে তুলে উন্মুক্ত আকাশে উড়িয়ে দিলেন। যা কাহিনী ১-এ বর্ণিত ঘটনার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।

তাই বলা যায়, কাহিনী ১-এ গৌতমের বাল্যজীবনে জীবের প্রতি করুণা ও ভালোবাসার দিকটি ফুটে উঠেছে।

6 months ago

বৌদ্ধধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা

**'Provide valuable content and get rewarded! 🏆✨**
Contribute high-quality content, help learners grow, and earn for your efforts! 💡💰'
Content
Promotion