কাহিনী ১. ত্রিয়ান বড়ুয়া স্কুল থেকে রাঙ্গামাটিতে শিক্ষাসফরে গেলেন। সেখানে গিয়ে দেখলেন কিছু শিকারী বন্যপশু শিকার করছে। ত্রিয়ান বড়ুয়া দেখতে পেয়ে বাধা দেন এবং প্রাণী হত্যা মহাপাপ তা বোঝানোর চেষ্টা করেন।
কাহিনী-২. গহিরা গ্রামের বটতলা বৌদ্ধ বিহারের বিহারাধ্যক্ষ শ্রদ্ধেয় জিনরত্ন ভন্তে উপাসকদের গৌতম বুদ্ধের শিষ্য ও প্রশিষ্যদের সঙ্ঘে যোগদান সম্পর্কে দেশনা করেন।
কাহিনী-২ এ শ্রদ্ধেয় জিনরত্ন ভন্তের দেশনায় বুদ্ধের ধর্ম প্রচারের ইঙ্গিত পাওয়া যায়- কথাটির সাথে তুমি কি একমত? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।
(উচ্চতর দক্ষতা)উদ্দীপকের বাহুবলীর মধ্যে সিদ্ধার্থের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে- উক্তিটি যথার্থ।
রাজা শুদ্ধোদন যখন দণ্ডপাণির নিকট গৌতমের বিবাহের আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাঠান তখন দণ্ডপাণি অত্যন্ত খুশি হন। কিন্তু তিনি জানালেন যে, কুলপ্রথা অনুযায়ী তাদের কন্যার পাণিপ্রার্থীকে অশ্বচালনা, ধনুর্বাণ, অসিচালনা প্রভৃতিতে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে হবে।
নির্ধারিত দিনে দেশ-বিদেশের ক্ষত্রিয় কুমারদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হলেন রাজকুমার সিদ্ধার্থ। অশ্বচালনা, ধনুর্বাণ, অসিচালনা একে একে সবকটিতেই তিনি জয়লাভ করে শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করলেন। সভামঞ্চে গোপা সিদ্ধার্থের গলায় বরমাল্য পরিয়ে দিলেন। বোধিসত্ত্বের জন্ম-জন্মান্তরের সাথি যশোধরা গোপার সঙ্গেই সিদ্ধার্থ গৌতমের পরিণয় হয়ে গেল। মহা ধুমধামের সাথে মহারাজ শূদ্ধোদন পুত্রের বিবাহ উৎসব করলেন। গৌতম সংসারী হলেন, রাজাও চিন্তামুক্ত হলেন। পরিশেষে পাখির কলকাকলিতে মুখর, পুষ্পশোভিত উদ্যানে নির্মিত ভিন্ন ভিন্ন ঋতু উপযোগী সুরম্য প্রাসাদে কুমার সিদ্ধার্থ ও রাজবধূ গোপাদেবীর দিনগুলো আনন্দে কাটতে লাগল। কোথাও কোনো কষ্ট নেই, দুঃখ নেই। জগৎ যেন আনন্দময়।