পাঞ্চালরাজের একমাত্র সন্তান সুন্দরী ও গুণবর্তী রাজকন্যা দেবসেনা। তাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন মহেশমতি রাজ্যের রাজপুত্র বাহুবলী। এজন্য অবশ্য বাহুবলীকে অশ্বচালনা, ধনুর্বাণ, অসিচালনাসহ নানা বিষয়ে পারদর্শিতার প্রমাণ দিতে হয়েছিল। সময়মত তাদের বিয়ে। হয়। ভিন্ন ভিন্ন ঋতু উপযোগী প্রাসাদে আনন্দে তাদের দিনগুলো কাটতে লাগল।
জাউদ্দীপকের ঘটনার সাথে যে রমণীর বিবাহের ঘটনার তুলনা করা যায় তিনি হলেন কোলীয় গণতন্ত্রের লাবণ্যময়ী রাজকন্যা সুস্মিতভাষিণী যশোধরা গোপা। রাজা দণ্ডপাণির কন্যা ছিলেন গোপী দেবী।
সিদ্ধার্থ গৌতম ক্রমে ষোল বছর বয়সে পদার্পণ করলেন। মহারাজ শুদ্ধোদন পুত্রের উদাসীনতা ও বৈরাগ্যভাব অনুধাবন করে পুত্রকে সংসারী করার তাগিদ অনুভব করলেন। তিনি এক স্বয়ংবর সভার আয়োজন করলেন। কুমার সিদ্ধার্থ গৌতম রাজসভায় অশোকভাণ্ড পাশে নিয়ে বসলেন। বিভিন্ন রাজ্য থেকে সুন্দরী রাজকন্যা ও শ্রেষ্ঠ কন্যারা একের পর এক আসলেন। কুমার অশোকভাণ্ড হতে উপহারসামগ্রী তাদের হাতে তুলে দিলেন। এভাবে সারাদিন কেটে গেল। অশোকভাণ্ড নিঃশেষ, কুমার কোনো রাজকন্যাকেই পছন্দ করতে পারলেন না। আসন ছেড়ে উঠে যাবেন, এমন সময় প্রবেশ করলেন প্রতিবেশী রাজ্য কোলীয় গণতন্ত্রের লাবণ্যময়ী রাজকন্যা সুস্মিতভাষিণী যশোধরা গোপা। অশোকভান্ড শেষ, কুমার ইতস্তত বোধ করলেন। তখন দণ্ডপাণি-কন্যা যশোধরা মৃদু হেসে জিজ্ঞাসা করলেন, আমার জন্য কি কোনো উপহার নেই? রাজপুত্র সিদ্ধার্থ নিজ অঙ্গুরীয়টি গোপাদেবীকে পরিয়ে দিলেন। এ দৃশ্যে সভায় উপস্থিত সকলে আনন্দে মেতে উঠল।