শ্রদ্ধেয় শাসনপ্রিয় স্থবির গৃহী অবস্থায় মানবজীবনের দুঃখ- কষ্ট, জরা, ব্যাধি, মৃত্যু ইত্যাদির কারণ উপলব্ধি করেন। এর থেকে মুক্তির জন্য তিনি বুদ্ধের নির্দেশিত পথ অনুসরণ করার সিদ্ধান্ত নেন। পরবর্তীতে শ্মশানে গিয়ে গভীর সাধনায় রত হন।
উক্ত পথেই শ্রদ্ধেয় শাসনপ্রিয় স্থবিরের জীবনের পরম সার্থকতা নিহিত। অর্থাৎ একমাত্র সন্ন্যাস গ্রহণের মাধ্যমে মানুষ পরম সুখ লাভের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছতে পারে।
জগতের জন্ম, জরা, দুঃখমুক্তির জন্য ভগবান বুদ্ধ রাজ সুখ ত্যাগ করে সন্ন্যাস গ্রহণ করলেন। সন্ন্যাসী ব্যক্তি বিমুক্ত মহাপুরুষ। তিনি সকল কিছুর ঊর্ধ্বে অবস্থান করেন।
সন্ন্যাসী ব্যক্তি লোভ, লালসা, কামনা-বাসনা প্রভৃতি হতে মুক্তিলাভ করেন। একমাত্র সন্ন্যাস বা প্রব্রজ্যা ধর্মে দীক্ষিত হয়ে বৌদ্ধধর্মের চরম লক্ষ্য নির্বাণ বা পরম সুখ লাভ করা সম্ভব। সন্ন্যাস গ্রহণের মাধ্যমে মানুষ পার্থিব চাওয়া- পাওয়া, আশা আকাঙ্ক্ষা মুক্ত হন। সন্ন্যাসব্রত গ্রহণের ফলাফল স্বরূপ লাভ করা হয় নির্বাণ।
পরিশেষে বলা যায়, নির্বাণ হলো পরম সুখ যা সকল তৃষ্ণার ক্ষয় করে দুঃখকে জয় করা। জন্ম-মৃত্যুর বন্ধন ছিন্ন করা। সন্ন্যাসের পথেই বোধিজ্ঞান লাভ করে সিদ্ধার্থ গৌতম বুদ্ধ হয়েছিলেন।