দীপঙ্কর কঠোর সাধনার মাধ্যমে মানুষের দুঃখমুক্তির উপায় সম্পর্কে জানতে পারেন। তিনি তার ধর্ম প্রচারের সিদ্ধান্ত নিয়ে পাঁচ অনুসারীকে দীক্ষা দেন। এভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় 'ভিক্ষুসংঘ'। এরপর তিনি পথে পথে অনেককে তার কল্যাণধর্মে দীক্ষিত করেন। একটি পূর্ণিমা রাতে তিনি মৃত্যুর মধ্য দিয়ে পূর্ণ মুক্তি লাভ করেন।
চরম নয়, মধ্যম পথ সাধনার উপযোগী জ্ঞানে গৌতম বুদ্ধ সাধনার জন্য মধ্যম পথ অবলম্বন করেন।
ছয় বছর কঠোর সাধনার পর গৌতমের সুন্দর দেহসৌষ্ঠব জীর্ণ-শীর্ণ হয়ে পড়ে। দুর্বল শরীরে তিনি হাঁটাচলায় অক্ষম হয়ে পড়েন। তখন তিনি অনুধাবন করলেন, এভাবে কঠোর সাধনা তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেবে। দুঃখমুক্তির উপায় জানা সম্ভব হবে না। তিনি উপলব্ধি করলেন, অল্প অল্প আহার করে মধ্যমপথ অবলম্বনই হবে সাধনার প্রকৃত পথ। এ জন্য তিনি সাধনার জন্য মধ্যমপথ অবলম্বন করেন।