শ্রদ্ধেয় রত্নজ্যোতি স্থবির ধ্যান চর্চার মাধ্যমে জীবগণের জন্মগ্রহণের বিষয় জানলেন। তিনি নৈতিক ও মানবিক গুণাবলি বিকাশে সচেষ্ট। দীর্ঘদিন তিনি ধর্মের বাণী ঘরে ঘরে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেন। শেষ পর্যায়ে তিনি দেহত্যাগের সময় বলেন, 'আমার অনুপস্থিতিতে তোমরা বিচলিত হয়ো না, আমার নীতি আদর্শকে মেনে চলার চেষ্টা করবে। এতেই তোমাদের মঙ্গল অনিবার্য।'
কৃশা গৌতমী বুদ্ধের নির্দেশ মতো কাজ করতে গিয়ে সত্য উপলব্ধি করেন।
বুদ্ধ একসময় শ্রাবস্তীতে অবস্থান করছিলেন। কৃশা গৌতমী নামে এক অসহায় নারীর একমাত্র শিশুপুত্রটি মারা যায়। তিনি পুত্রশোকে পাগলিনীপ্রায় হয়ে বুদ্ধের কাছে ছুটে এসে তার একমাত্র ছেলেকে বাঁচিয়ে তোলার জন্য অনুরোধ করেন। তথাগত বুদ্ধ কৃশা গৌতমীকে বললেন, তুমি এমন গৃহ থেকে এক মুঠো সরিষা নিয়ে এসো, যেখানে কখনো কারও মৃত্যু হয়নি। কৃশা গৌতমী একমুঠো সরিষার সন্ধানে সারাদিন শ্রাবস্তীর দ্বারে দ্বারে ঘুরলেন। কিন্তু এমন কোনো গৃহ খুঁজে পেলেন না যেখানে কেউ মারা যায়নি। শ্রান্ত-অবসন্ন কৃশা গৌতমী দিনশেষে অনুধাবন করলেন, সকলেই মৃত্যুর অধীন। মৃত্যুই মানুষের অবশ্যম্ভাবী পরিণতি, তার পুত্রও এর ব্যতিক্রম নয়।