শ্রদ্ধেয় রত্নজ্যোতি স্থবির ধ্যান চর্চার মাধ্যমে জীবগণের জন্মগ্রহণের বিষয় জানলেন। তিনি নৈতিক ও মানবিক গুণাবলি বিকাশে সচেষ্ট। দীর্ঘদিন তিনি ধর্মের বাণী ঘরে ঘরে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেন। শেষ পর্যায়ে তিনি দেহত্যাগের সময় বলেন, 'আমার অনুপস্থিতিতে তোমরা বিচলিত হয়ো না, আমার নীতি আদর্শকে মেনে চলার চেষ্টা করবে। এতেই তোমাদের মঙ্গল অনিবার্য।'
শ্রদ্ধেয় রত্নজ্যোতি স্থবিরের ঘটনায় গৌতম বুদ্ধের ধর্ম প্রচারের ঘটনার ইঙ্গিত বহন করে।
গৌতম বুদ্ধ বুদ্ধত্বলাভের পর তাঁর নতুন ধর্ম প্রচারের সিদ্ধান্ত নিলেন। এই পবিত্র সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য তিনি বিভিন্ন স্থানে গমন করেন। তাঁর প্রচারিত বাণী শুনে অনেকে তাঁর শিষ্যত্ব গ্রহণ করে। বুদ্ধ তাঁর শিষ্যদের দিকে দিকে এই ধর্ম প্রচারের জন্য প্রেরণ করলেন এবং বললেন, বহুজনের মঙ্গলের জন্য তোমরা দিকে দিকে ছাড়িয়ে পড়ো। যা রত্নজ্যোতি স্থবিরের ধর্ম প্রচারের সাথে মিলে যায়।
উদ্দীপকের শ্রদ্ধেয় রত্নজ্যোতি স্থবির ধ্যান চর্চা করে জীবের জন্মগ্রহণ সম্পর্কে জানলেন এবং ধর্মের বাণী ঘরে ঘরে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেন। বুদ্ধত্বলাভের পরে বুদ্ধ তাঁর নবলব্ধ ধর্মপ্রচারের সিদ্ধান্ত নিলেন। এ জন্য তিনি আষাঢ়ী পূর্ণিমাতিথিতে সারনাথের ঋষি পতন মৃগদাবে উপস্থিত হলেন। ঐখানে তখন অবস্থান করছিলেন তাঁর পূর্বের পাঁচ সঙ্গী। কোন্ডিন্য, বঙ্গ, ভদ্দিয়, মহানাম ও অশ্বজিৎ। এদের কাছে তিনি প্রথম নবলব্ধ ধর্মপ্রচার করলেন। এরাই বুদ্ধের কাছে প্রথম দীক্ষাপ্রাপ্ত ভিক্ষু। তাদের দীক্ষার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা লাভ করলো 'ভিক্ষুসজ্ঞ'। বুদ্ধের প্রথম ধর্ম দেশনা 'ধর্মচক্র প্রবর্তন সূত্র' নামে খ্যাত। বুদ্ধ শিষ্যদের নিয়ে ঐ তপোবনেই প্রথম বর্ষাবাস শুরু করলেন। এ সময়ে শ্রেষ্ঠিপুত্র যশ ও তাঁর চার বৃদ্ধের কাছে প্রব্রজ্যা গ্রহণ করেন। এদের অনুসারী আরও প্যাশ জন যুবকও ভিক্ষু হন। বৃদ্ধ এই ভিক্ষুসংঘকে বর্ষাবাসশেষে দিকে দিকে অনন্য এই ধর্মপ্রচারে প্রেরণ করলেন।