শ্রদ্ধেয় রত্নজ্যোতি স্থবির ধ্যান চর্চার মাধ্যমে জীবগণের জন্মগ্রহণের বিষয় জানলেন। তিনি নৈতিক ও মানবিক গুণাবলি বিকাশে সচেষ্ট। দীর্ঘদিন তিনি ধর্মের বাণী ঘরে ঘরে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেন। শেষ পর্যায়ে তিনি দেহত্যাগের সময় বলেন, 'আমার অনুপস্থিতিতে তোমরা বিচলিত হয়ো না, আমার নীতি আদর্শকে মেনে চলার চেষ্টা করবে। এতেই তোমাদের মঙ্গল অনিবার্য।'
শ্রদ্ধেয় রত্নজ্যোতি স্থবিরের শেষ পর্যায়ের বিষয়টি গৌতম বুদ্ধের মহাপরিনির্বাণের ঘটনার প্রতিফলন।
দীর্ঘ ৪৫ বছর ধর্ম প্রচার করে ৮০ বছর বয়সে, গৌতম বুদ্ধের জীবনাবসান হয় যা বৌদ্ধ পরিভাষায় মহাপরিনির্বাণ হিসেবে খ্যাত। গৌতম বুদ্ধ এক বৈশাখী পূর্ণিমায় অসুস্থতা বোধ করে মল্লদের শালবনে যমক শালগাছের নিচে বিশ্রামের জন্য শয়ন করলেন। বুদ্ধের সেবক প্রিয় আনন্দ ও অন্য ভিক্ষুরা বুদ্ধের চারপাশে উপবিষ্ট। বুদ্ধ শেষ বারের মতো উপদেশ দেন, হে ভিক্ষুগণ! সংস্কারসমূহ ব্যয় ধর্মশীল। অপ্রমাদের সাথে নিজ নিজ কর্তব্য পালনে তৎপর হও। শেষ বাণী উচ্চারণের সাথে সাথে বুদ্ধ ধ্যানে নিমগ্ন হলেন। একটির পর একটি ধ্যানের স্তর অতিক্রম করে তিনি নিরোধ সমাধি মগ্ন হলেন এবং রাত্রির তৃতীয় যামে পরম সুখময় মহাপরিনির্বাণ লাভ করলেন।
উদ্দীপকের রত্নজ্যোতি স্থবির দেহত্যাগের সময় তার শিষ্যদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ প্রদান করেন। তিনি বলেন, 'আমার অনুপস্থিতিতে তোমরা বিচলিত হয়ো না, আমার নীতি আদর্শ মেনে চলার চেষ্টা করবে। রত্নজ্যোতি স্থবিরের শেষ উপদেশ গৌতম বুদ্ধের মহাপ্ররিনির্বানের আগের উপদেশের সাথে মিল রয়েছে।
উপর্যুক্ত আলোচনার আলোকে বলা যায়, প্রকৃত সুখ লাভের জন্য বুদ্ধের অন্তিম উপদেশসমূহ ব্যক্তিজীবনে প্রতিফলন ঘটানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।