চিত্র-০১ চিত্র-০২
উদ্দীপকে নির্দেশিত সভ্যতা অর্থাৎ মিশরীয় সভ্যতার অন্যতম বৈশিষ্ট্য লিপি বা অক্ষর আবিষ্কার।
নগর সভ্যতা বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে মিশরীয় লিখনপদ্ধতির উদ্ভব ঘটে। পাঁচ হাজার বছর পূর্বে তারা সর্বপ্রথম ২৪টি ব্যঞ্জনবর্ণের বর্ণমালা আবিষ্কার করে। প্রথম দিকে ছবি একে তারা মনের ভাব প্রকাশ করত। তাদের এই লিখন পদ্ধতিকে বলা হয় চিত্র লিপি। এই চিত্র লিপিকে বলা হয় হারারোগ্লিফিক বা পবিত্র অক্ষর। মিশরীয়রা নলখাগড়া জাতীয় গাছের কান্ড থেকে কাগজ বানাতে শেখে যার ওপর তারা লিখতো। মিশরীয়দের এই হারারোগ্লিফিক সময়ে সময়ে বিবর্তনের ধারা পার করেছে। বিবর্তিত হয়ে একসময় হায়রাটিক লিপির রূপ পরিগ্রহ করে, আর পরে ডেমাটিক লিপিতে বিবর্তিত হয়। মিশরীয়দের এই লিখন পদ্ধতি বর্তমান আধুনিক লিখন পদ্ধতি আবিষ্কারের পথপ্রদর্শক।
পরিশেষে তাই বলা যায়, মিশরীয় সভ্যতার অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য লিপি বা অক্ষর আবিষ্কার। তাদের আবিষ্কৃত চিত্রলিপি আধুনিক লিখন পদ্ধতি আবিষ্কারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।