রকিবের ঘন ঘন পাতলা পায়খানা হবার কারণে সে দুর্বল হয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় সে ডাক্তারের পরামর্শ নিল। ডাক্তারের পরামর্শে সে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠল।
উদ্দীপকে বর্ণিত রকিবের রোগের লক্ষণ দেখে বুঝা যায় সে ডায়রিয়া রোগে ভুগছে। ডাক্তার এমতাবস্থায় ডায়রিয়ার প্রতিকারের জন্য নিম্নলিখিত পরামর্শ দিবেন।
ডায়রিয়া রোগের লক্ষণ দেখা দিলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রোগীকে খাবার স্যালাইন খাওয়ানো শুরু করতে হবে। আজকাল বাজারে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র কর্তৃক তৈরি খাবার স্যালাইনের প্যাকেট বাজারে পাওয়া যায়। প্যাকেটের গায়ে স্যালাইন বানানোর নিয়ম লেখা থাকে। ঐ নিয়ম অনুযায়ী স্যালাইন বানাতে হবে। তাছাড়া বাড়িতেও স্যালাইন বানানো যায়। স্যালাইন ব্যবহারের সময় যে বিষয়গুলো মনে রাখা দরকার তা হলো- পাতলা পায়খানা বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত রোগীকে স্যালাইন খাওয়াতে হবে। রোগীর বমি হলেও স্যালাইন খাওয়া বন্ধ করা যাবে না। শিশু রোগীকে বুকের দুধ খাওয়ানো, রোগীকে নিয়মিত অন্যান্য খাবারও খাওয়াতে হবে। ডায়রিয়া সেরে যাওয়ার পরও অন্তত এক সপ্তাহ রোগীকে বাড়তি খাবার দিতে হবে।