রিতা পাল মৎস্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রশিক্ষিত হয়ে নিজ পুকুরে মাছ চাষ শুরু করলেন। তিনি সম্পূরক খাদ্য প্রস্তুত করে পুকুরে যথাযথভাবে প্রয়োগ করেন এবং মাছের উৎপাদন বাড়াতে সফল হন। তার সফলতা দেখে এলাকার অন্য চাষিরা নিয়মিত সম্পূরক খাদ্য প্রয়োগের কার্যক্রম গ্রহণ করলেন।
রিতা পালের সফলতা দেখে এলাকার অন্য চাষিরা মাছের উৎপাদন বাড়াতে নিয়মিত সম্পূরক খাদ্য প্রয়োগের কার্যক্রম গ্রহণ করেন।
উল্লিখিত এলাকার মাছ চাষিদের মাছের সম্পূরক খাদ্যের উপকারিতা সম্পর্কে কোনো ধারণা ছিল না। তারা মাছ চাষে পুকুরে উৎপাদিত প্রাকৃতিক খাদ্যের ওপর নির্ভরশীল ছিলেন। ফলে মাছের খাদ্যের চাহিদা মিটত না। এজন্য তাদের পুকুরে মাছের উৎপাদন কম হতো। তারা মাছ চাষে রিতা পালের সফলতা দেখে অনুপ্রাণিত হন। মাছকে নিয়মিত * সম্পূরক খাদ্য সরবরাহ করলে অধিক ঘনত্বে পোনা ও বড় মাছ চাষ করা যায়, অল্প সময়ে বড় আকারের সুস্থ সবল পোনা উৎপাদন করা যায় এবং মাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া মাছের দৈহিক গঠন সুন্দর হয় এবং বাজারে বিক্রি করে অধিক মুনাফা লাভ করা যায়।
তাই বলা যায়, এলাকার অন্য মাছ চাষিদের গৃহীত কার্যক্রম যুগোপযোগী ও যথার্থ ছিল।