কৃষিশিক্ষা ক্লাসে রহমান স্যার একদিন ছাত্রদের বাংলাদেশের মানচিত্রে কৃষি পরিবেশ অঞ্চলগুলো দেখাচ্ছিলেন। অতঃপর তিনি দোআঁশ ও পলি দোআঁশ অঞ্চল সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের প্রতিবেদন তৈরি করে জমা দিতে বললেন। তিনি আরও বললেন, ফসল নির্বাচনে মাটি ও জলবায়ু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক।
উদ্দীপকে রহমান স্যারের বক্তব্যটি হলো, ফসল নির্বাচনে মাটি ও জলবায়ু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক।
মাটির জৈব পদার্থের মাত্রা, পটাশজাত খনিজের মাত্রা, অম্লমান মাত্রা ও বন্ধুরতার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। এজন্য এলাকাভেদে মাটির বৈশিষ্ট্যের ওপর নির্ভর করে একেক ধরনের মাটিতে একেক ধরনের ফসল ভালো জন্মায়। যেমন- আলু ও টমেটো দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটিতে ভালো জন্মে। পাট চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী মাটি নদীবাহিত গভীর পলিমাটি। ধান চাষের জন্য উপযোগী মাটি এঁটেল ও এঁটেল দোআঁশ মাটি। নদ-নদীর অববাহিকা ও হাওর-বাঁওড় এলাকা যেখানে পলি জমে সেখানেও ধান ভালো হয়। আবার যেকোনো প্রকার মাটিতেই টমেটো চাষ করা যায়। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে সব মাটিতে সব ফসল ভালো হয় না।
এছাড়া এলাকাভেদে বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রার ভিন্নতা দেখা যায়। এসব পার্থক্যের জন্য এক এক অঞ্চলে এক এক রকম ফসল উৎপন্ন হয়।
তাই কাঙ্ক্ষিত ফলন পেতে মাটির বৈশিষ্ট্য ও জলবায়ুর ওপর নির্ভর করেই ফসল নির্বাচন করা উচিত।