কৃষিশিক্ষা ব্যবহারিক ক্লাসে স্যার খাদ্য সংরক্ষণের বিভিন্ন -পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করেন। মাসুদ পরবর্তী ক্লাসে তার সহপাঠীদের সাথে খাদ্যের গুণগতমান রক্ষার বিভিন্ন দিক লিখে পোস্টারে অঙ্কন করল।
স্যারের আলোচিত পদ্ধতিগুলো হলো খাদ্য সংরক্ষণের বিভিন্ন পদ্ধতি।
মাছ চাষকে লাভজনক করতে হলে প্রাকৃতিক খাদ্যের পাশাপাশি মাছকে বাইরে থেকে সম্পূরক খাদ্য প্রয়োগ করতে হয়। আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষে যা খরচ হয় তার প্রায় শতকরা ৬০ ভাগই খরচ হয় খাদ্য ক্রয় করতে। সম্পূরক খাদ্য হিসেবে আমাদের দেশে সচরাচর যে উপাদানগুলো ব্যবহার করা হয় তা হলো: চালের কুঁড়া, গমের ভুসি, সরিষার খৈল, তিলের খৈল, ফিশমিল, গরু-ছাগলের রক্ত ও নাড়ি-ভুঁড়ি, জলজ উদ্ভিদ যেমন-কচুরিপানা, ক্ষুদিপানা ইত্যাদি। এসব উপাদান প্রয়োজনমতো মিশ্রিত করে চাষিরা মৎস্য খাদ্য তৈরি করে। কারখানায় তৈরি বাণিজ্যিক খাদ্যও মৎস্য খামারে ব্যবহার করা যায়। যে ধরনের খাদ্যই মাছ চাষের পুকুরে দেওয়া হবে গুণগতমান ভালো না হলে সুস্থসবল পোনা ও মাছ হবে না, রোগাক্রান্ত মাছ মারা যাবে। আবার মাছের বৃদ্ধিও আশানুরূপ হবে না।
তাই খাদ্যের গুণগতমান ভালো রাখার জন্য যথাযথ নিয়মে খাদ্য উপকরণ বা তৈরি খাদ্য সংরক্ষণ ও গুদামজাতকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।