বিদ্যাময়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাসে শিক্ষকের নিকট হতে মাছের সম্পূরক খাবার সম্পর্কে ধারণা লাভ করে। পরবর্তীতে শ্রেণির কাজ হিসেবে শিক্ষার্থীরা নিকটস্থ একটি মৎস্য খামারে গিয়ে মাছের সম্পূরক খাদ্য তৈরি ও প্রয়োগ পদ্ধতি সরাসরি পর্যবেক্ষণ করে এবং নিম্নোক্ত তালিকাটি তৈরি করে শ্রেণি শিক্ষকের নিকট জমা দেয়-
উপকরণের নাম | শতকরা হার% |
ফিশমিল | ১০-২১ |
সরিষার খৈল | ৪৫-৫৩ |
চালের কুঁড়া | ২৮-৩০ |
ভিটামিন ও খনিজ লবণ | ০.৫-১.০ |
চিটাগুড় ও আটা | ৫ |
উল্লিখিত সম্পূরক খাদ্য বলতে মাছের সম্পূরক খাদ্য বুঝানো হয়েছে। উদ্দীপকে মাছের জন্য সম্পূরক খাদ্য তৈরির প্রয়োজনীয় উপকরণের তালিকা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি মাছ, পোল্ট্রি ও গবাদিপশুর দ্রুত বৃদ্ধির জন্য অতিরিক্ত খাদ্য হিসেবে সম্পূরক খাদ্য দেওয়া হয়।
মাছের সম্পূরক খাদ্য তৈরির জন্য প্রথমে ভালো মানসম্পন্ন নির্ধারিত খাদ্য উপাদানসমূহ সংগ্রহ করতে হবে। উপাদানসমূহ প্রয়োজনে আটা পেষার মেশিনে বা ঢেঁকিতে ভালো করে চূর্ণ বা গুঁড়া করে নিতে হবে এবং চালনি দিয়ে চেলে নিতে হবে। খাদ্য উপাদানসমূহ একটি একটি করে মেপে নিয়ে মিক্সার মেশিনে বা একটি বড় পাত্রে ভালোভাবে মেশাতে হবে। মেশানো উপাদানগুলোতে পানি দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে মণ্ড তৈরি করতে হবে। তারপর মন্ড ছোট ছোট বলের মতো তৈরি করে ভেজা বা আর্দ্র খাদ্য হিসাবে মাছকে দিতে হবে। মাছকে সরবরাহকৃত খাবার পানিতে বেশি স্থিতিশীল রাখার জন্য বাইন্ডার হিসাবে আটা বা ময়দা বা চিটাগুড় ব্যবহার করা হয়।
আবার এই মণ্ড দিয়ে সহজ পদ্ধতিতে স্বল্প মূল্যে দেশীয় পিলেট মেশিনের সাহায্যে পিলেট বা দানাদার খাবার তৈরি করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে পিলেট বা দানাদার খাবার রোদে শুকিয়ে নিতে হবে এবং পরবর্তীতে ব্যবহারের জন্য বায়ুরোধী প্লাস্টিক ব্যাগে সংরক্ষণ করতে হবে। খৈল কিছু বিষাক্ত উপাদান থাকে, যা মাছের জন্য ক্ষতিকর। তাই খৈলে একদিন পানিতে ভিজিয়ে রেখে ব্যবহার করতে হয়। সুষম খাদ্য তৈরির জন্য নির্বাচিত খাদ্য উপাদানের সাথে ০.৫-১% ভিটামিন ও খনিজ লবণের মিশ্রণ ব্যবহার করতে হবে।
সুতরাং বলা যায়, সঠিক উপাদান ও পরিমিত মাত্রার মিশ্রণে মাছের সুষম সম্পূরক খাদ্য তৈরি করা যায় এবং এ খাদ্য মাছের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়ক।