তামান্না জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পাস করেছে। তার এখনও কোনো চাকরি হয়নি। ইদানিং সে তার মায়ের পরিচালিত হস্তশিল্পে তার মাকে কাজে সাহায্য করে। মায়ের কাছে থেকে তার সময় ভালো কাটে, কিন্তু তাদের হস্তশিল্পের উৎপাদন বা আয় পূর্বের অবস্থাতেই রয়েছে।
বাস্তবভিত্তিক শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে তামান্না উক্ত অবস্থা (প্রচ্ছন্ন বেকারত্ব) থেকে মুক্তি পেতে পারে।
বাস্তবভিত্তিক শিক্ষা হলো হাতে কলমে শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ; যা মানুষকে দক্ষ মানবশক্তিতে পরিণত করে। উচ্চ শিক্ষিত হওয়ার পাশাপাশি বাস্তবভিত্তিক শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে একজন মানুষ সহজেই কাজ পেতে পারে বা স্বনির্ভর হতে পারে। তাই, উপযুক্ত কাজ পেতে হলে কিংবা নিজের উদ্যোগে কোনো কাজের ব্যবস্থা করতে তামান্না বাস্তবভিত্তিক শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।
উদ্দীপকে লক্ষ করা যায়, তামান্না শিক্ষিত হলেও উপযুক্ত প্রশিক্ষণের অভাবে উৎপাদনে অবদান রাখতে পারছে না। এক্ষেত্রে সে বাস্তবধর্মী শিক্ষা, যেমন- হাঁস-মুরগি পালনকে স্বকর্মসংস্থানের উপায় হিসেবে গ্রহণ করতে পারে। তবে এ সম্পর্কে কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ একান্ত প্রয়োজন। তামান্না সরকারের হাঁস-মুরগি ও পশুপালন অধিদপ্তর থেকে এ সম্পকীয় কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে হাঁস-মুরগি পালনকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করতে পারে। তাছাড়া সে কাপড় কাটা, সেলাই করা, কাপড় ছাপানো ইত্যাদি সম্পর্কেও শিক্ষা গ্রহণ ও প্রশিক্ষণ নিতে পারে। আবার, আজকাল নার্সারি, ফুল ও ফলের বাগান করেও জীবিকা অর্জন করা যায়। সে এ সম্পর্কেও শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ নিতে পারে। যা তাকে ছদ্মবেশী বেকারত্ব থেকে মুক্তি দিবে।
কাজেই বলা যায় বাস্তবভিত্তিক শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে তামান্না বেকার অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে পারে।