মি. আরমান আলী 'ক' নামক একটি দেশে গিয়ে দেখতে পান, সেদেশের বেশির ভাগ লোক কৃষির ওপর নির্ভরশীল। কৃষির উৎপাদন ব্যবস্থা সনাতন এবং খাতটির উৎপাদনশীলতাও বেশ কম।তিনি আরও লক্ষ করেন, দেশটিতে বেকার সমস্যা প্রকট, মাথাপিছু আয় খুবই কম। দেশটি শিল্পক্ষেত্রে যথেষ্ট পশ্চাৎপদ।
মি. আরমান আলী যে দেশে গিয়েছে সে দেশটি হলো একটি অনুন্নত দেশ। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য 'ক' নামক দেশটি কৃষিতে উন্নত পদ্ধতিতে চাষাবাদ, প্রাকৃতিক সম্পদ ও মানবসম্পদের যথাযথ ব্যবহারসহ পরিকল্পিত কর্মসূচির মাধ্যমে শিল্প উন্নয়ন ও মূলধন গঠনে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে।
একটি অনুন্নত দেশকে উন্নত দেশে উন্নীত করা তথা অনুন্নত অর্থনৈতিক অবস্থাকে উন্নত করতে হলে মূলধন গঠন খুবই অপরিহার্য। আর অনুন্নত দেশের অর্থনীতি কৃষিনির্ভর হওয়ায় কৃষিতে বৈজ্ঞানিক ও উন্নত পদ্ধতিতে চাষাবাদ করলে মূলধন গঠন দ্রুত ত্বরান্বিত হয়, যা কর্মসংস্থানের মাধ্যমে অধিক জনসংখ্যা মানবসম্পদে পরিণত করে।
উদ্দীপকে লক্ষ করা যায়, 'ক' দেশটির অর্থনীতি কৃষিনির্ভর ও কৃষিতে নিযুক্ত শ্রমিকের উৎপাদনশীলতাও কম। আবার, অধিক জনসংখ্যা হওয়ায় বেকার সমস্যা প্রকট ও মাথাপিছু আয় খুবই কম। এ অবস্থায় কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে উন্নত পদ্ধতিতে চাষাবাদ করলে কৃষির উৎপাদন বাড়বে। আবার, কৃষিতে নিযুক্ত অতিরিক্ত শ্রমিক শিল্প খাতে স্থানান্তর করলে আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে মূলধন গঠিত হবে।
তাছাড়া, অধিক জনসংখ্যাকে যদি উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা প্রদানের - মাধ্যমে দক্ষ মানব শক্তিতে পরিণত করা যায়, তবে দেশটির উৎপাদন ■ বৃদ্ধি পাবে। সুতরাং, বলা যায়, উপর্যুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করলে 'ক' দেশটি ■ তার বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটাতে সক্ষম হবে।