বিশ্বের অন্যান্য গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের ন্যায় বাংলাদেশ সরকার জনগণের কল্যাণের জন্য রাষ্ট্র পরিচালনা করার ক্ষেত্রে সমগ্র দেশটাকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাগে ভাগ করে শাসন পরিচালনা করছে। সরকার স্থানীয় পর্যায়ে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি দ্বারা শাসন পরিচালনার ব্যবস্থা করছে।
হ্যাঁ, আমি মনে করি বাংলাদেশে স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত সরকার ব্যবস্থার প্রতিনিধিরা স্থানীয় পর্যায়ে শাসনকার্য পরিচালনা করছে।
স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত সরকার হচ্ছে সমগ্র রাষ্ট্রকে বিভিন্ন অঞ্চলে বিভক্ত করে 'ক্ষুদ্রতর পরিসরে প্রতিষ্ঠিত সরকারব্যবস্থা। রাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থার সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য কেন্দ্রীয় প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় শাসনব্যবস্থা গড়ে ওঠে। স্থানীয় ও তৃণমূল পর্যায়ের সমস্যা সমাধানের জন্য স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা গড়ে ওঠে। বাংলাদেশে এই ধরনের স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত সরকার ব্যবস্থা বিদ্যমান। বাংলাদেশে বর্তমানে তিন স্তরবিশিষ্ট স্থানীয় সরকার কাঠামো লক্ষ করা যায়। যথা- ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও জেলা পরিষদ। এছাড়া শহরগুলোতে পৌরসভা, ১১টি বড় শহরে সিটি কর্পোরেশন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ ও তিন পার্বত্য জেলায় তিনটি (খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, রাঙামাটি) স্থানীয় জেলা পরিষদ রয়েছে।
ইউনিয়ন পরিষদ গ্রামীণ জীবনে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গ্রামীণ সমস্যা দূরীকরণ, গণসচেতনতা বৃদ্ধি ও দায়িত্বশীল নেতৃত্ব তৈরি করার লক্ষ্যে ইউনিয়ন পরিষদ নানাবিধ কাজ করে। উপজেলা ও জেলার উন্নয়নের জন্য রয়েছে উপজেলা ও জেলা পরিষদ। পৌরসভা শহরের জনগণের স্থানীয় বহুবিধ সমস্যার সমাধান এবং উন্নয়নমূলক কাজের দায়িত্ব পালন করে।
মহানগর এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা, বিভিন্ন সমস্যার সমধান এবং উন্নয়নের জন্য সিটি কর্পোরেশন কাজ করে। আর রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান এই তিন পার্বত্য জেলার জন্য কাজ করে পার্বত্য জেলা পরিষদ।
ওপরের আলোচনার ভিত্তিতে একথা সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, বাংলাদেশে স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত সরকার ব্যবস্থার প্রতিনিধিরা স্থানীয় পর্যায়ে শাসনকার্য পরিচালনা করছে।