বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় পরোক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়ে একজন চেয়ারম্যান, পনেরো জন সদস্য ও পাঁচজন মহিলা সদস্য নিয়ে এই পরিষদ গঠিত হয়। তারা বিভিন্ন উৎস থেকে আয় করে পরিষদের কার্যাবলি পরিচালনা করে।
উদ্দীপকে উল্লেখিত পরিষদটি হলো জেলা পরিষদ। জেলা পরিষদ শহর ভিত্তিক স্থানীয় সরকার কাঠামোর একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তর। জেলা পরিষদ জেলার জনগণের উন্নয়নের লক্ষ্যে বহুবিধ কাজ সম্পাদন করে থাকে।
২০০০ সালে জাতীয় সংসদে জেলা পরিষদ আইন পাস হয়। এই আইনের অধীনে জেলা পরিষদকে ১২টি বাধ্যতামূলক এবং ৬৮টি ঐচ্ছিক কার্যাবলির দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ পরিষদের উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে পরিকল্পনা এবং উন্নয়ন, শিল্প এবং বাণিজ্যের উন্নয়ন, সরকারি হাসপাতাল তত্ত্বাবধান, পারিবারিক ক্লিনিক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা এবং পরিচালনা। সেই সাথে আন্তঃজেলা সড়ক প্রকল্প প্রস্তুতকরণ এবং চলমান পুলিশি
কর্মকাণ্ডের তত্ত্বাবধান, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে সহায়তা, সন্ত্রাস দমনে সুপারিশ এবং উপজেলা পরিষদের কাজের তদারকি করা। এছাড়া জেলা পরিষদ ৫ বছর মেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরি করে এবং স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠায়। পরিশেষে বলা যায়, জেলার সামগ্রিক উন্নয়নে জেলা পরিষদ সরকার কর্তৃক গৃহীত এবং অর্পিত সকল দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে।