দুইটি রাষ্ট্রের সরকারের ক্ষমতার ধারা :
'X' ব্যক্তি জনগণের ভোটে নির্বাচিত 'ক' রাষ্ট্রের প্রকৃত শাসক। তিনি আইনসভার সদস্য নন। তার সরকারব্যবস্থায় দলের চাইতে জাতীয় স্বার্থ বেশি গুরুত্ব পায়। | 'Y' ব্যক্তির দল জনগণের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করায় 'খ' রাষ্ট্রের সরকার গঠন করে। 'Y' ব্যক্তি এবং তার দল আইনসভায় বিভিন্ন দল-মতের প্রাধান্য দিয়ে বিভিন্ন আইন পাস করেন। |
‘ক’ রাষ্ট্রের সরকারব্যবস্থা কোন ধরনের? ব্যাখ্যা কর ।
(প্রয়োগ)'ক' রাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারব্যবস্থা বিদ্যমান।
রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার বলতে সেই সরকারকে বোঝায় যেখানে শাসন বিভাগ আইন বিভাগের নিকট দায়ী থাকে না। রাষ্ট্রপতি ও মন্ত্রিসভার সদস্যগণ আইনসভার সদস্য নন। মন্ত্রীগণ তাদের কাজের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে দায়ী থাকেন। রাষ্ট্রপতির সন্তুষ্টির ওপর মন্ত্রীদের কার্যকাল নির্ভর করে। 'ক' রাষ্ট্রের সরকারব্যবস্থায়ও এমন বৈশিষ্ট্য লক্ষণীয়।
উদ্দীপকে দেখা যায়, 'ক' রাষ্ট্রের শাসক আইনসভার নিকট দায়ী নন। এ ধরনের সরকারব্যবস্থায় জাতীয় স্বার্থ বেশি গুরুত্ব পায়। রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারেরও এ ধরনের বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। এ ধরনের সরকারে রাষ্ট্রপতি সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। তিনিই প্রকৃত শাসক ও সরকার প্রধান। তিনি কোনো কাজে মন্ত্রীদের পরামর্শ গ্রহণ করতেও পারেন আবার নাও পারেন। ছকের 'ক' রাষ্ট্রের সরকার ব্যবস্থাটিও পাঠ্যবইয়ের রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারব্যবস্থার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।